রোববার সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মাঈদুল ইসলামের জানাজা হওয়ার পর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া ও প্রধান হুইপ আসম ফিরোজ তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এছাড়া বিরোধী দলীয় নেতার পক্ষে বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এইচ এম এরশাদের পক্ষে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জাতীয় পার্টির পক্ষে দলের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার মরদেহে শ্রদ্ধা জানান।
গত ১০ মে রাতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৭৫ বছর বয়সী মাঈদুল।
পেশায় শিল্পপতি মাঈদুল ইসলাম ছয়বার কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) আসানের জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদে এসেছিলেন। জিয়াউর রহমান ও এইচ এম এরশাদ সরকারের মন্ত্রিসভাতেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
জিয়া নিহত হওয়ার পর বিএনপিতে যে কজন নেতার সক্রিয় ভূমিকা ছিল, তাদের মধ্যে মাঈদুল ছিলেন অন্যতম। কিন্তু পরে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন এবং ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এইচ এম এরশাদের মন্ত্রিসভায় ভূমি, নৌ-পরিবহন, পাট, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
এরশাদ সরকারের পতনের পর একবার পুরনো দল বিএনপিতে ফিরলেও পরে আবার তিনি এরশাদের দলে যান এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকেই এমপি নির্বাচিত হন।
সংসদ চত্বরে জানাজায় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, প্রধান হুইপ আ.স.ম ফিরোজ, হুইপ মো. শহীদুজ্জামান সরকার এমপি, পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, শ্রম ও কর্মসংসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ, বিভিন্ন শ্রেণীর নাগরিক, রাজনৈতিক দলের কর্মী, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।