রাইড শেয়ারিং নীতিমালা: শৃঙ্খলা না শৃঙ্খল?

বাংলাদেশে নতুন চালু হওয়া অ্যাপভিত্তিক পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে যে নীতিমালা সরকার করেছে, তাতে তদারকির পরিবর্তে নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টাই মুখ্য হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন চালক, গাড়িমালিক ও কয়েকজন উদ্যোক্তা।

ওবায়দুর মাসুমসুলাইমান নিলয় ওবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 May 2018, 07:35 AM
Updated : 5 May 2018, 07:35 AM

২০১৬ সালের মে মাসে রাজধানী ঢাকায় প্রথম মোটর সাইকেল রাইড চালু করে স্যাম। উদ্যোক্তারা এই সেবা চালু করতে সরকারি অনুমতির জন্য বিআরটিএসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে কারও সঙ্গে কথাই বলতে পারেননি বলে তাদের অভিযোগ।

পরে ভবিষ্যতে কোনো বিধিমালা করলে সেটা মেনে চলার ঘোষণা সম্বলিত চিঠি ৭ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে তারা ব্যবসায় নামে। তখন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিআরটিএ তাদের ব্যবসা বন্ধ করতে বলে।

একই বছরের ২২ নভেম্বর ঢাকায় ব্যক্তিগত যানবাহন দিয়ে যাত্রীসেবা দেওয়া শুরু করে মোবাইল অ্যাপভিত্তিক প্রতিষ্ঠান উবার। তিন দিনের মাথায় পত্রিকায় ফের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিআরটিএ উবারকে ‘অবৈধ’ বললেও দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া এই সেবাকে আটকে রাখা যায়নি।

জনপ্রিয়তা পায় পাঠাও নামে আরেকটি সার্ভিস। অনলাইনে বাসের টিকেট বিক্রি করে পরিচিতি পাওয়া সহজ ডটকমও সহজ রাইড নামে একটি অ্যাপ চালু করে। এছাড়া চলো, আমার বাইক, আমার রাইড, ময়ুর, ওয়েজ, ও ভাই প্রভৃতির এই সার্ভিস রয়েছে।

যানজটের নগরী ঢাকায় প্রায় তিন লাখ ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে। নগরীর যানজটের জন্য দায়ী করা হয় এদেরকেই। নগরীতে কয়েকটি ট্যাক্সি ক্যাব সেবা থাকলেও এগুলো কখনোই জনপ্রিয়তা পায়নি বা সাধারণের নাগালে যেতে পারেনি। নগরীতে রয়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মিটার বাদ দিয়ে ইচ্ছেমতো ভাড়া হাঁকানোর দুর্নাম রয়েছে তাদের। অ্যাপভিত্তিক এই পরিবহণ ব্যবস্থা আসার পর মধ্যবিত্ত গাড়িতে চড়ার স্বাদ পায়।

এরই মাঝে সরকার এর নীতিমালা প্রণয়নে হাত দেয়। মোবাইল অ্যাপভিত্তিক যাত্রীসেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নীতিমালার আওতায় আনতে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে খসড়া তৈরি শুরু করে বিআরটিএ।

বিআরটিএ-এর এনফোর্সমেন্ট বিভাগের পরিচালককে প্রধান করে একটি কমিটি এই খসড়া নীতিমালা তৈরি করে। গত ২১ জুন এটি বিআরটিএ থেকে সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। গত ১৫ জানুয়ারি তা সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন পেল।

এই নীতিমালায় একজন চালককে শুধু মাত্র একটি রাইড শেয়ারিং কোম্পানিতে অন্তর্ভুক্তির যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রবল আপত্তি চালকদের। তারা বলছেন, এতে মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হচ্ছে।

যানজটের নগরী ঢাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা

অ্যাপে বাইক চালক মো. হানিফ ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যদি একটা অ্যাপ ব্যবহার করতে হয়, সেটা খুবই খারাপ হবে। কোম্পানি তখন আপনাকে নানা কিছু বলতে পারে। কোম্পানির লোকরা তখন আপনাকে যা বলে আপনার তা শুনতে হবে।”

আবদুল কাইয়ুম নামে অন্য একজন রাইডার বলেন, “একটা অ্যাপ হবে কেন? আমার স্বাধীনতা, যখন যার সাথে ইচ্ছা তার অ্যাপ দিয়ে গাড়ি চালাব।”

ঢাকার বাস্তবতায় বিআরটিএ নীতিমালা করার ক্ষেত্রে ‘ভুল’ করেছে বলে মনে করেন এই খাতে দেশের প্রথম উদ্যোক্তা স্যামের প্রতিষ্ঠাতা ইমতিয়াজ কাসেম।

এই নীতিমালার ফলে একজন বাইক রাইডার ও গাড়িচালক যদি একটা অ্যাপে থেকে এই সেবা দিতে চান, তাহলে তিনি কার্যত অ্যাপ কোম্পানির কর্মচারীতে পরিণত হবেন বলে মন্তব্য তার।

কীভাবে এটা হবে- ব্যাখ্যা চাইলে ইমতিয়াজ বলেন, “মনে করেন, একজন চাকরিজীবী ভদ্রলোক দিনে দুইবার রিকোয়েস্ট নিতে চান। কিন্তু কোম্পানি তাকে সারাদিন হয়ত ১০টা রিকোয়েস্ট দিয়ে যায়। একাধিক কোম্পানির অ্যাপ থাকলে কোম্পানির তাতে কিছুই করার থাকে না।

“তবে একটা কোম্পানির অ্যাপ থাকলে যে দুইটা গ্রহণ করল, আর যে ১০টা রিকোয়েস্ট গ্রহণ করল, দুজনের মধ্যে দুইটা রিকোয়েস্ট গ্রহণকারীর রেটিং খারাপ হয়ে যাবে। এমনকি তিনি মার্কেট আউট হয়ে যেতে পারেন। তখন রাইড শেয়ারিংয়ে তিনি থাকতে পারবেন না। তারাই থাকতে পারবেন, যিনি পেশা হিসেবে এটাকে নিচ্ছেন।”

“এর মাধ্যমে চালকদের উপর কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ, কোম্পানির মাধ্যমে বিআরটিএর’র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে। অথচ এটা থাকা দরকার ছিল উন্মুক্ত,” বলেন স্যামের উদ্যোক্তা।

এই খাতের অন্য একজন উদ্যোক্তা বলেন, “এখানে চালক হচ্ছেন একজন ফ্রিল্যান্সার। একজন ফ্রিল্যান্সারের একইসঙ্গে একাধিক কোম্পানিতে কাজ করার যে অধিকার, এই নীতিমালার মাধ্যমে তা লঙ্ঘিত হবে, যাতে কমে যাবে তাদের আয়।

“যখন কোনো একটা কোম্পানিকে বেছে নিতে হবে, তখন তুলনামূলক বেশি রাইড পাওয়ার আশায় তারা সবাই বড় কোম্পানিতে চলে যাবে।”

ইমতিয়াজ বলেন, “আমরা যখন এসেছিলাম, তখন সরকার আমাদেরকে আটকে রেখেছিল, কিন্তু বড় বিদেশি কোম্পানি যখন এসেছে, তখন আর তাদেরকে আটকে রাখতে রাখতে পারেনি। বাজার তাদের দখলে চলে গেছে। আমাদেরকে না আটকালে বাজারের এই অবস্থা হত না।

“বড় কোম্পানিগুলো এখন নানাভাবে চায়, ছোট কোম্পানিগুলো বন্ধ হয়ে যাক, তখন আর প্রতিযোগিতা থাকবে না, এরপর তারা ব্যবসা করবে।”

নতুন এই নীতিমালা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করা হলেও উবার ও পাঠাও’র কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

একাধিক অ্যাপের সুবিধা বাতিলের এই নিয়মে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাইড শেয়ারে গাড়ি দেওয়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “রাস্তায় অফিস ফেরত মধ্যবিত্তের যে দুর্ভোগ, সেটার সমাধান করেছে এই রাইড শেয়ারিং। এখানে যারা গাড়ি দিয়েছে, তারা এখন কোনোভাবে যদি নিরুৎসাহিত হয়, তাহলে পুরনো ব্যবস্থা ফিরে আসবে। ফের কষ্ট বাড়বে মানুষের।

“একটা গাড়ি দুইটা অ্যাপে থাকতে না পারলে ট্রিপ এক-তৃতীয়াংশ কমে যাবে। ট্রিপ না পেলে মানুষ এই সেবায় গাড়ি দিতে উৎসাহী হবে না।”

আপত্তি আরও জায়গায়

এই নীতিমালার ফলে এই খাতে প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট হয়ে বড় কোম্পানির আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন এক উদ্যোক্তা।

চালকদের জাতীয় পরিচয়ত্রপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকার পরও কেন তাকে আলাদা করে রাইড শেয়ারিং সার্টিফিকেট নিতে হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। 

ড্রাইভার, গাড়ি মালিকের সঙ্গে কোম্পানির চুক্তির বিধান নিয়েও প্রশ্ন তুলে এই উদ্যোক্তা বলেন, “এই সেবায় এ রকম কাগজের চুক্তি পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে শোনা যায়নি। হাজার হাজার ড্রাইভারের সঙ্গে এ রকম চুক্তি করা এক রকম অসম্ভবও।

“এটা অনলাইন সার্ভিস। এটা অ্যাপের মধ্যেই সম্ভব। যেখানে টার্মস-কন্ডিশন একসেপ্ট করেই তাকে ঢুকতে হবে।”

ঢাকায় এই ধরনের অনেক গাড়ি দিচ্ছে রাইড শেয়ারিং সেবা

গাড়ি মালিকের সঙ্গে চুক্তিকেও তিনি অপ্রয়োজনীয় মনে করছেন।

তিনি আরও বলেন, তিন বছরের লাইসেন্সের জন্য চালকের কাছ থেকে ১৫০০ টাকা নেওয়ার বিধানও বেশি। কারণ মূলত বেকার, চাকরিপ্রার্থী, শিক্ষার্থী, অল্প কিছু অতিরিক্ত আয় করতে চাওয়া মানুষরাই এই সেবা দিতে আসেন। একইসঙ্গে ১৫০০ টাকা দেওয়া তাদের পক্ষে কঠিন।

এই নীতিমালা এই খাতের প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দেবে বলেও মনে করেন এই উদ্যোক্তা।

বিআরটিএ’র ওয়েবসাইট উন্নয়নে রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে টাকা নেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

“বলা হয়েছে, রাইড শেয়ারিং কোম্পানি তাদের পাসওয়ার্ড বিআরটিএকে দেবে। পুলিশকে দেওয়া যেতে পারে। কেন বিআরটিএ?

চালকদের তথ্য বিআরটিএ’র ওয়েবসাইটে রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চালকরা রাইড শেয়ারিং কোম্পানির সম্পদ। এই তথ্য বিআরটিএ’কে দিয়ে দিলে কোম্পানিগুলোর মধ্যে চালকদেরকে নিয়ে কাড়াকাড়ি লাগবে।”

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আরাফাত মুন্না বলেন, রেজিস্ট্রেশনের এক বছর পার না হলে রাইড শেয়ারিং এ যুক্ত না হয়ার বিধানও ঠিক হয়নি।

এই নীতিমালায় অপ্রয়োজনীয় বিষয় এসেছে- এ রকম মন্তব্য যেমন পাওয়া গেছে, তেমনি প্রয়োজনীয় অনেক কিছু আসেনি-এমন মন্তব্যও করেছেন অনেকে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আসাদুল্লাহ আল গালিব মাঝে মধ্যে নিজের গাড়িতে রাইড শেয়ার করেন।

তিনি বলেন, “নতুন গাড়ি নামালে এক বছরের আগে রাইড শেয়ার করা যাবে না- এটা নিয়ে আপত্তি আছে। আমার গাড়ি আমি যখন খুশি শেয়ার করব। এখানে সার্টিফিকেট কেন লাগবে? এতদিন রেন্ট-এ-কারের ব্যবসায় তো লাগে নাই।”

একজন একটা গাড়ি দিতে পারবে-এমন বিধানও এখানে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করেন নিজের গাড়িতে রাইড শেয়ার করা এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম।

দেশের প্রথম রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান স্যামের প্রতিষ্ঠাতা ইমতিয়াজ বলেন, এই নীতিমালা রাইড শেয়ারিংয়ের সঙ্গে যায় না। এটা ট্যাক্সিক্যাব কোম্পানির নীতিমালা হয়ে গেছে।

দুনিয়ার অনেক দেশেই রাইড শেয়ারিং সার্ভিসগুলো এখন টেক্সিক্যাবের মতোই ব্যবসা করছে- এ প্রসঙ্গ তুললে তিনি বলেন, “দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সেখানে একজনের হয়ত কাজ নেই, তিনি গাড়ি নিয়ে বের হয়ে সার্ভিস দেন। কিন্তু উবারে দেওয়ার জন্য কেউ গাড়ি কেনেন না। চাকরি ছেড়ে দিয়ে কেউ উবারের গাড়ি চালান না। আমাদের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আমাদেরকে ভিন্নভাবেই ভাবতে হবে।”

যাত্রীদের অগ্রাধিকার নিরাপত্তা

রাইড শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে গ্রাহকের নিরাপত্তার বিষয়টিতে বেশি জোর দিচ্ছেন ব্যবহারকারী অনেকে।

অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট লীনা পারভীন বলেন, “আমাকে নীতিমালা করতে দিলে প্রথমে আমি এই সেবার পরিধি নির্ধারণ করতাম। মানে, চাইলেই যে কেউ রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না। তার জন্য কী কী যোগ্যতা, তার নির্ধারণ করতাম।

“যাত্রীর নিরাপত্তা কেমন করে নিশ্চিত সে বিষয়ে সুস্পষ্ট গাইডলাইন রাখতাম। যাত্রী হয়রানির বিষয়ে নির্দেশনা থাকতে হবে যা এখন নাই। ওদের রিক্রুটমেন্ট ও ট্রেইনিং নিয়ে সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকতে হবে কোম্পানির।”

নীতিমালায় অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিস চলে এসেছে মন্তব্য করে ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন মশু বলেন, এখানে এমন বিষয়ও যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো আগে থেকেই মোটরযান আইনে আছে।

তার মতে, চালক দক্ষ কি না, তার সেবা দানের মানসিকতা আছে কি না, ব্যক্তিগত জীবনে তার কোনো রকম অপরাধ প্রবণতা আছে কি না ইত্যাদি এখানে গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলো এখানে নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোরশেদ রহমান জুবায়ের বলেন, নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় অনেক কিছু বাদ পড়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য এক শিক্ষার্থী ওয়াহিদা জামান সিথি বলেন, “যাত্রী নিরাপত্তা বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা উচিৎ। রেজিস্ট্রেশনের সময় এই লাইসেন্স এ রেজিস্টার করা হয়। পরে দেখা যায় নেমপ্লেট মেলে না।”

সাবেক ছাত্রনেতা বাপ্পাদিত্য বসু বলেন, “এ‌কেক কোম্পা‌নির এ‌কেক ভাড়ার হার। অথচ সা‌র্ভিসটা সবার প্রায় একই মা‌নের। এটা ঠিক করে দেওয়া উচিৎ ছিল।”

পরিমার্জনের ‘সুযোগ আছে’

এই নীতিমালা বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিআরটিএ’র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের একজন মো. শাহজাহান কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নীতিমালা বাস্তবায়নের কাজ আমরা করছি। প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই তাদের আবেদন দিয়ে গেছে, সেগুলো আমরা যাচাই বাছাই করে চূড়ান্ত করব। এরপর ব্যক্তি পর্যায়ের এনলিস্টমেন্ট শুরু হবে।”

এ বিষয়ে কথা বলতে বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইলে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। 

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্মসচিব ড. মো. কামরুল আহসান বলেন, রাইড শেয়ারিং নীতিমালার খসড়াটা বিআরটিএ থেকে এসেছিল। পরে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে অনুমোদন হয়েছে।

“আমরা নীতিমালা করে দিয়েছি। এখন কার্যক্রম কেমন চলছে, তা বিআরটিএ ভালো বলতে পারবে। এখন তো আর আপত্তি দেওয়ার কিছু নাই। এখন আপাতত এটা স্টার্ট হয়ে গেছে।

“তবে এটা যেহেতু নতুন একটা বিষয়, তাই কোনো সমস্যা থাকতে পারে। সেটার পরিবর্তন, পরিমার্জন হতে পারে। সংশোধন পরে করা যাবে, কোনো অসুবিধা নাই। বিআরটিএ প্রস্তাব দিলে আমরা সেটা করতে পারব।”