দুদক থেকে বেরিয়ে ডিআইজি মিজান বললেন, ‘স্যরি’

সম্পদ নিয়ে তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনের জিজ্ঞাসাবাদের পর এক নারী সংবাদ পাঠকের সঙ্গে নিজের আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডিআইজি মিজানুর রহমান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2018, 11:21 AM
Updated : 11 July 2018, 11:06 AM

তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, “সাংবাদিক এক ভদ্র মহিলার সঙ্গে আমার কনভারসেশন হয়েছে, এজন্য আমি স্যরি। এজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।”

এই বছরের জানুয়ারিতে পুলিশ সপ্তাহ শুরুর আগে পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক মিজানের বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান রেখে আরেক নারীকে জোর করে বিয়ের অভিযোগ ওঠার পর ব্যাপক তোলপাড় হয়।

ওই ঘটনার পর এক নারী সংবাদ পাঠককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মিজানের বিরুদ্ধে। এরপর মিজানকে ঢাকা মহানগর পুলিশ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার সম্পদের তদন্তে দুদকের তলবে সেগুন বাগিচায় কমিশন কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার পর সাংবাদিকরা ওই বিষয়টি নিয়েও তাকে প্রশ্ন করেন।

সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে আসছেন ডিআইজি মিজানুর রহমান

‘স্যরি’ বলার পাশাপাশি তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমি বলব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমার বিরুদ্ধে ইনকোয়ারি আছে, সুতরাং উনারাই ভালো বলতে পারবেন, কতটুকু প্রমাণিত হয়েছে, কতটুকু প্রমাণিত হয়নি।”

সম্পদের তদন্তে সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত টানা সাড়ে ৭ ঘণ্টা পুলিশের উচ্চপদস্থ এই কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক কর্মকর্তারা।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে হাজির ডিআইজি মিজানুর রহমান

এ বিষয়ে ডিআইজি মিজান সাংবাদিকদের বলেন, “দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে। আমার ট্যাক্স ফাইলের বাইরে আমার কোনো সম্পদ নেই, বাকিটুকু আপনারা তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন।”

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সামনে পড়েন ডিআইজি মিজানুর রহমান

আত্মীয়-স্বজনদের নামে কোনো সম্পদ আছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি আবারও বলি যে যে জায়গায় সম্পদ আছে বা আমার আত্মীয়-স্বজনের নামে যে সম্পদ আছে, তা আমার ট্যাক্স ফাইলে আছে।"
ডিআইজি মিজান পুলিশের উচ্চ পদে থেকে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে নানা উপায়ে শত কোটি টাকার মালিক হন বলে দুদকে অভিযোগ আসে।

এই অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য গত ১০ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করে দুদক।