মঙ্গলবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৬ সালে ঢাকার প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ১০ মাইক্রোমিটার ব্যাসের ভাসমান বস্তুকণার (পিএম১০) বার্ষিক গড় পরিমাণ ছিল ১০৪ মাইক্রোগ্রাম। ২০১৫ সালে ছিল ১৪৫ মাইক্রোগ্রাম এবং তার আগের বছর ছিল ১৫০ মাইক্রোগ্রাম।
আর প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ২.৫ মাইক্রোমিটার ব্যাসের ভাসমান বস্তুকণার (পিএম২.৫) বার্ষিক গড় পরিমাণ ২০১৬ সালে ৫৭ মাইক্রোগ্রাম, ২০১৫ সালে ৮২ মাইক্রোগ্রাম এবং তার আগের বছর ৮৫ মাইক্রোগ্রাম ছিল।
ডব্লিউএইচওর আদর্শ মান অনুযায়ী, প্রতি ঘনমিটার বাতাসে পিএম১০ এর পরিমাণ ২০ মাইক্রোগ্রামের কম এবং পিএম২.৫ এর পরিমাণ ১০ মাইক্রোগ্রামের কম হলে তাকে স্বাস্থ্যসম্মত বাতাস বলা যায়।
১ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ বসবাস করে এমন ১১টি মেগাসিটির ২০১১ থেকে ২০১৫ সালের বায়ু মান বিচার করে গড় দূষণের যে গ্রাফ ডব্লিউএইচও প্রকাশ করেছে, তাতে ঢাকা রয়েছে ভারতের দিল্লি আর মিশরের কায়রোর পর তৃতীয় অবস্থানে।
ডব্লিউএইচও বলছে, বিশ্বের শহর এলাকার বাসিন্দাদের ৮০ শতাংশ যে বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে, তা ওই স্বাস্থ্যসম্মত সীমার মধ্যে পড়ে না। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের শহরগুলোর ৯৮ শতাংশই বায়ু দূষণের কারণে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বায়ু দূষণ বেড়ে যাওয়ার কারণে এসব এলাকায় হৃদরোগ, স্ট্রোক, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসকষ্টের মত রোগের ঝুঁকিও বাড়ছে।
বাংলাদেশে নারায়াণগঞ্জের পরিস্থিতি ঢাকার চেয়েও খারাপ। তবে মেগাসিটি না হওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১১ শহরের ওই গ্রাফে নারায়ণগঞ্জের তথ্য আসেনি।
শীতলক্ষ্যা তীরের এই শহরে ২০১৫ সালে পিএম২.৫ এর পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ৯৪ মাইক্রোগ্রাম; পিএম১০ এর উপস্থিতি প্রতি ঘনমিটারে ২০৫ মাইক্রোগ্রাম।
অবশ্য ঢাকা ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো শহরের ২০১৬ সালের তথ্য ডব্লিউএইচও এর এবারের প্রতিবেদনে আসেনি।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরের বাতাসে পিএম২.৫ এর পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ৬৬ মাইক্রোগ্রাম। পিএম১০ এর উপস্থিতি প্রতি ঘনমিটারে ৯১ মাইক্রোগ্রাম। খুলনা, গাজীপুর, বরিশাল, সিলেট শহরের বাতাসেও দূষণের পরিমাণ নিরাপদ মাত্রার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি।
ডব্লিইএইচও বলছে, পিএম১০ দূষণের দিক দিয়ে বিশ্বের ২০টি ঘনবসতিপূর্ণ শহরের মধ্যে ১৩টিই ভারতের। দিল্লি ছাড়াও মুম্বাই, পুনে, কলকাতার বাতাস দূষণে ভারাক্রান্ত।