ঢাকায় নিরাপদ পানি: আরও বহুপথ বাকি

ঢাকায় প্রায় সব নাগরিকের পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা গেলেও এখনও নিরাপদ পানি পান না প্রায় অর্ধেক মানুষ। ফলে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগের প্রকোপ ঘটছে প্রায়ই।

সুলাইমান নিলয়বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 April 2018, 06:23 AM
Updated : 18 May 2018, 04:34 AM

কীভাবে কবে নাগাদ এই শহরের সবাই নিরাপদ পানি পেতে পারে- সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে তা জানার চেষ্টা করেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের দাবি, ওয়াসার পানি এখন আগের চেয়ে ‘অনেক ভালো’। তার আশা, ওয়াসার সরবরাহ করা পানি সরাসরি ট্যাপ থেকে নিয়ে খাওয়া যাবে- এমন ঘোষণা ২০২১ সালেই হয়ত দেওয়া যাবে।

অবশ্য বাস্তব চিত্র ভিন্ন। গরম পুরোমাত্রায় শুরু না হলেও ঢাকার হাসপাতালগুলোতে এখনই ডায়রিয়া রোগীর ভিড় বেড়েছে। এর কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা বলছেন পানির সমস্যার কথা।

রাজধানীর প্রায় দেড় থেকে দুই কোটি মানুষের জন্য পানি সরবরাহ করে ঢাকা ওয়াসা। কিন্তু সেই পানিতে ময়লার সঙ্গে দুর্গন্ধসহ নানা সমস্যার অভিযোগ অনেক পুরনো।

ইউএনডিপি ও ইউনিসেফের জয়েন্ট মনিটরিং প্রোগ্রামের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ওয়াটার এইড বাংলাদেশের প্রোগ্রামস অ্যান্ড পলিসি অ্যাডভোকেসি পরিচালক মো. লিয়াকত আলী জানান, বাংলাদেশে নিরাপদ পানির প্রাপ্যতার হার ৫৬ শতাংশ।

ঢাকার পরিস্থিতি ‘অনেকটা এ রকমই’ বলে মন্তব্য করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ওয়াসা হয়ে বর্তমানে ওয়াটার এইডে কাজ করা এই বিশেষজ্ঞ।

রাজধানীর দনিয়ার বর্ণমালা স্কুল সংলগ্ন ওয়াসার গভীর নলকূপ থেকে খাবার পানি নিতে স্থানীয়দের ভিড়। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

পানি আসে কোথা থেকে

গতবছর সংসদে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজধানীতে দৈনিক বিশুদ্ধ পানির চাহিদা ২৩০-২৩৫ কোটি লিটার। আর ঢাকা ওয়াসার দৈনিক উত্তোলন ক্ষমতা ২৪৫ কোটি লিটার।

এর মধ্যে ১৭০ কোটি লিটার পানি তোলা হয় ওয়াসার গভীর নলকূপ থেকে। বাকি প্রায় ৬০ কোটি লিটার সরবরাহ করা হয় বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার পানি ওয়াসার পাঁচটি শোধনাগারে শোধন করে।

কিন্তু অনেক এলাকায় সরবরাহ লাইনে ত্রুটির কারণে পরিশোধিত পানি বাসার কলে আসার সময় নিয়ে আসে ময়লা আর দুর্গন্ধ। ওই পানি সরাসরি পান করলে পেটের পীড়াসহ নানা ধরনের সমস্যা হয় বলে ফুটিয়ে খেতে হয়। অবশ্য তাতেও দুর্গন্ধ দূর হয় না সব সময়।  

এ কারণে অনেকেই এখন ওয়াটার পিউরিফায়ার ব্যবহার করেন। কেউ কেউ পানি ফুটিয়ে তারপর পিউরিফায়ারে দিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাজারে যেসব পিউরিফায়ার বিক্রি হয় সেগুলো কতটা কার্যকর- তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে গ্রাহকদের মধ্যেই।    

অধ্যাপক ড. আশরাফ আলী

অফিস আদালত বা দোকানে রেস্তোরাঁয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় বোতল বা জারের পানি। সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) এক গবেষণায় ঢাকার ৯৭ শতাংশ জারের পানিতে ক্ষতিকর মাত্রায় মানুষ ও প্রাণীর মলের জীবাণু ‘কলিফর্ম’ পাওয়া যায়। ওয়াসার লাইনে পানি সরাসরি জারে ভরে বিক্রি করার বহু ঘটনাই সাম্প্রতিক সময়ে ধরা পড়েছে।

বুয়েটের প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আশরাফ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,  এমনিতে ঢাকা ওয়াসার পানি উৎসে নিরাপদ। বিতরণ লাইন এবং বাড়ির ওভারহেড ট্যাংকে এসে পানি ফের দূষিত হয়।

তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যা নিম্ন আয়ের মানুষের, যারা বস্তি বা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় থাকে এবং ওয়াসার পানি পেতেও যাদের বেগ পেতে হয়। 

“বস্তিবাসী বেশি দামে তৃতীয়পক্ষ থেকে পানি কেনে। ওয়াসা তাদেরকে সরাসরি সংযোগ দিলে এটা বন্ধ হবে। অনেক জায়গায় তারা সেটা করছেও।”

‘লাস্ট হানড্রেড মিটারস’ নামে বস্তিবাসীদের ওপর করা এক গবেষণার বরাত দিয়ে ওয়াটার এইড কর্মকর্তা লিয়াকত আলী বলেন, সংগ্রহের সময় পানি নিরাপদ থাকলেও শেষ সময়ে এসে তা অনিরাপদ হয়ে যেতে পারে।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “গ্লাসে নেওয়ার সময় যদি নখ লেগে যায়, টয়লেট থেকে এসে যদি সাবান দিয়ে হাত না ধুয়ে গ্লাস ধরি, এটা থেকেও কন্টামিনেশন হতে পারে।”

নাগরিক ভাবনা

শনির আখড়ার ২৪ ফুট এলাকার বাসিন্দা খোদেজা খাতুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওয়াসার যে পানি তারা পান, তা ফুটালেও দুর্গন্ধ যায় না। সে কারণে স্থানীয় একটি মসজিদের গভীর নলকূপ থেকে তোলা পানি এনে খান। তার মত অনেকেই এভাবে পানির চাহিদা মেটান।  

ফুটিয়েও পানযোগ্য পানি না পাওয়ায় অনেকে বাসা বাড়িতে ফিল্টার বা পিউরিফায়ার ব্যবহার করছেন, যদিও তাতে তাদের সন্দেহ দূর হচ্ছে না।

পুরান ঢাকার বাসিন্দা আইনজীবী ইমতিয়াজ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অনেক বছর ধরেই তিনি পানি ফুটিয়ে তারপর পিউরিফায়ার ব্যবহার করেন। কারণ যে কোনো একটার ওপর তিনি আস্থা রাখতে পারছেন না।

একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত রায়হান সুলতানা তমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাসায় থাকলে ফুটানো পানি, অফিসে থাকলে জারের পানি, আর বাইরে ঘোরাঘুরির সময় বোতলের পানি পান করেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “শতভাগ নিরাপদ কোনোটাই না। বাসারটা তুলনামূলক নিরাপদ ভাবি কারণ নিজ হাতে পানি ফুটিয়ে নিই বলে। বাকিগুলো তো বিকল্প নাই বলে খেতে হয়।”

একটি বেসরকারি টিভি স্টেশনের জনসংযোগ নির্বাহী সাদ্দাম হোসেন জানান, তিনি একটি বহুজাতিক কোম্পানির পিউরিফায়ার ব্যবহার করেন। খরচ, ব্যবহারবিধি আর পানির স্বাদ নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট।

কিন্তু এই পানিও পুরোপুরি নিরাপদ কি না- তা তিনি জানেন না। এ বিষয়ে সরকারি উদ্যোগের প্রত্যাশা জানান তিনি।

সাংবাদিক রবিউল ইসলাম বলেন, “ফুটানো পানি পুরোপুরি নিরাপদ মনে হয়। আমি পানি নিয়ে কাজ করেছি, তাতে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত দেখে যা বুঝেছি, তাতে বিভিন্ন কোম্পানির পানি বিশুদ্ধ করা ফিল্টার নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।”

‘বক্তব্য নেই’ মান নিয়ন্ত্রকের

ঢাকায় সরবরাহ করা ওয়াসার পানি নিয়ে কোনো বক্তব্য নেই বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই)। বাসা বাড়িতে যে পিউরিফায়ার বা ফিল্টার ব্যবহার করা হয়-সেগুলো নিয়েও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নীরব রাষ্ট্রীয় এই মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

সংস্থাটি কেবল বাণিজ্যিক পানির (বোতলজাত ও জার) মান নিশ্চিতে কাজ করে বলে জানান বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তা মো. রিয়াজুল হক।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পানি কেমন তা জানতে চাইলে যে কেউ এসে ফি দিয়ে বিএসটিআই থেকে পানি পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন।

তিনি বলেন, সারা দেশে ১৬৩টি কোম্পানির বোতল ও জারের পানি বিক্রির অনুমোদন আছে। তবে গত ১০ মাসে রাজধানীতে ৫৮টি কারখানায় অভিযান চালানো হয়, যার মধ্যে পাঁচ-সাতটি বাদে সবই ছিল অনুমোদনহীন।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) যে গবেষণায় অধিকাংশ জারের পানিতে মলের জীবাণু পাওয়ার খবর এসেছিল, সেই গবেষক দলের নেতৃত্ব দেওয়া মনিরুল ইসলাম বলেন, জারের পানি বা ওয়াসার পানি- কোনোটাকেই নিরাপদ বলা যাবে না। তবে ওয়াসার পানিতে যে খনিজ উপাদান পাওয়া যায়, সেটা জারের পানিতে অনুপস্থিত।

দেশের নামকরা ৩৫টি ব্র্যান্ডের বোতলজাত পানির নমুনা নিয়ে করা গবেষণার ফল সম্পর্কে তিনি বলেন, “বোতলজাত পানির উৎপাদকরা এটাকে মিনারেল ওয়াটার বললেও বাস্তবে এতে মিনারেল উপাদান নেই। বোতলের গায়ে উল্লেখ করা এ রকম আরও অনেক উপাদান পরিমাণ মতো পাওয়া যায়নি।”

বিএসটিআই কর্মকর্তা মো. রিয়াজুল হক

বিএআরসির গবেষক মনিরুল ইসলাম

 বিসিএসআইআর ভ্যালিডেশন মাত্র একটিতে

ঢাকার বাজারে কয়েক ডজন কোম্পানির পিউরিফায়ার পাওয়া গেলেও সেগুলোর মান নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা সরকারিভাবে নেই।

কোনো পণ্যের বিক্রেতা যেসব দাবি করছেন তা সঠিক কি না তা যাচাই করে সনদ দেওয়ার ব্যবস্থা আছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ বিসিএসআইআরের।

কিন্তু ইউনিলিভারের বিপণন করা ‘পিউরইট’ ছাড়া আর কোনো কোম্পানির পিউরিফায়ার এ পর্যন্ত বিসিএসআইআরের ‘ভ্যালিডেশন’ নেয়নি বলে জানান রাষ্ট্রায়ত্ত এ সংস্থার ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিকাল মেজারমেন্টসের (ডিআরআইসিএম) পরিচালক ড. মালা খান।

অন্য কেউ কেন এই ভ্যালিডেশনের জন্য আসেনি-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “পণ্যের গুণগত মান ঠিক না থাকলে তো কেউ আসবে না। এই সেবা সম্পর্কে না জানার কারণেও হতে পারে।”

ভ্যালিডেশন বলতে আসলে কী বোঝায়- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, কোনো পণ্যে হয়ত বলা হল, এটা খেলে বাচ্চা তরতর করে লম্বা হয়ে যাবে। কিন্তু আদতে কী হয়, এটা খতিয়ে দেখাই ভ্যালিডেশন।

“এটা ইন্সপেকশনের মতো একবার করলে হয়ে যায় না, অব্যাহতভাবেই করতে হয়। এই প্রক্রিয়ায় কেউ যদি বলে এই ডিভাইস দুই হাজার লিটার পানি বিশুদ্ধ করতে পারে, তাহলে ৫০০ লিটার পর যেমন দেখা হবে, তেমনি ২০০০ লিটারে গিয়েও দেখা হবে। তারা তাদের যন্ত্রের ব্যাপারে যা যা দাবি করছে, সেগুলো ঠিক আছে কি-না, পুরো সময় ধরে আমরা সেটা দেখব।”

ডিআরআইসিএম পরিচালক ড. মালা খান

ইউনিলিভার বাংলাদেশের বিপণন প্রধান তানজিন ফেরদৌস

ইউনিলিভার বাংলাদেশের বিপণন প্রধান তানজিন ফেরদৌস জানান, সারা দেশে ৮ লাখ গ্রাহক পিউরইট ব্যবহার করেন, যার ৭০ শতাংশই ঢাকার বাসিন্দা।

তার দাবি, ঢাকার পানি বিশুদ্ধ করতে যে সব পদ্ধতি মানুষ ব্যবহার করে, তার মধ্যে পিউরইটের খরচ সবচেয়ে কম।

“এই পানি ফুটানোরও দরকার নেই। এতে বুড়িগঙ্গার নষ্ট পানিও বিশুদ্ধ করা সম্ভব। হয়ত জিকেক বদলাতে হতে পারে। তবে পানি যেটা বের হবে, সেটা অবশ্যই বিশুদ্ধ।”

টেকসই উন্নয়নে পানি

ওয়াটার এইড কর্মকর্তা লিয়াকত আলী বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য-এমডিজিতে গুরুত্ব ছিল পানি প্রাপ্যতার ওপর, ঢাকায় এখন যেটা ৯৭ শতাংশ। আর্সেনিক বাদ দিলে ৮৩-৮৪ শতাংশ।

কিন্তু এখন এসডিজি অর্জনে সবার জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে হবে। ইউনিসেফ ও হু’র করা জয়েন্ট মনিটরিংয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশে নিরাপদ পানি প্রাপ্যতার হার ৫৬ শতাংশ।

“ঢাকা শহরের চিত্রও একই রকম। তার মানে আমরা যে পানি সরবরাহ করছি, সেটা নিরাপদ নয়।”

 টেকসই উন্নয়নের এই লক্ষ্য ‘সবার জন্য নিরাপদ পানি’ নিশ্চিতের উদ্যোগে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ।

এসডিজি অর্জনে ইউএনডিপির সঙ্গে ইউনিলিভারের চুক্তি হওয়ার কথা জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বিপণন প্রধান তানজিন ফেরদৌস বলেন, “আমরা চিন্তা করছি, ইউএনডিপিসহ বাংলাদেশে যারা আছে, পৃথিবীর যারা বাংলাদেশে কাজ করতে চান, এজেন্সি, ডোনার, প্রাইভেট সেক্টর সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করতে চাই। সেটা আমরা এখন তৈরি করছি।”

ইতোমধ্যে একটি এনজিওর মাধ্যমে পিউরইট কিস্তিতে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা পানি উদ্যোক্তা তৈরি করতে চাই। এনজিওর নারীরা যদি এটা বিক্রি করে, সার্ভিসিং করতে পারে, তাদেরও এটা থেকে আয় হবে।

তানজিন ফেরদৌস বলেন, “আমরা চাই সারা বাংলাদেশের সবাই যেন সাধ্যের মধ্যে নিরাপদ পানি পান করতে পারে। আমরা সরকারের কাছেও যাব, কীভাবে সরকার এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারে সে বিষয়ে পাশে থাকার জন্য।”

ওয়াটার এইড কর্মকর্তা লিয়াকত আলী

ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান

ওয়াসার প্রতিশ্রুতি

ওয়াসা ধারাবাহিক উন্নয়নের মধ্যে আছে জানিয়ে রাষ্ট্রায়াত্ত এ কোম্পানির এমডি তাকসিম এ খান বলছেন, “পানির মান আগের চেয়ে অনেক ভালো। আজকে যদিও ৮০ভাগ মানুষ ট্যাপের পানি পান করে, কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে সেটা আমরা বলি না। কারণ আমি জানি না, পাইপে কোথাও পানি কন্টামিনেটেড হয়েছে কি না। সেজন্য আমরা বলি, ১০ মিনিট ফুটিয়ে খান। ২০২১ সালে আমরা বলতে পারব, ইউ আর রেডি টু ড্রিঙ্ক ট্যাপ ওয়াটার।”

আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকেও ওয়াসার অগ্রগতির স্বীকৃতি এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বলেছে, ‘হোয়াট এ সাকসেস স্টোরি!’ যার মূল কথা হচ্ছে, কীভাবে একটা অথর্ব প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম সেরা ওয়াটার ইউটিলিটি সার্ভিসে পরিণত হল!”

এক প্রশ্নের জবাবে তাকসিম এ খান বলেন, তারা ঢাকার সব বস্তিকে বৈধ সরবরাহের আওতায় আনতে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে ৬০ শতাংশ চলেও এসেছে।

“এটার ফল খুবই ভালো হয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে বাকিরাও চলে আসবে।”