কোটা সংস্কার: ৩০ এপ্রিল ঢাবিতে ছাত্র-শিক্ষক মতবিনিময় সভা

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নের দাবি সামনে রেখে ৩০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক মতবিনিময় সভা আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2018, 07:49 AM
Updated : 26 April 2018, 01:04 PM

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর এই ঘোষণা দেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিলেও কিছু সংবাদমাধ্যম শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে; মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক খবর প্রচার করে যাচ্ছে।

“এই আন্দোলনকে বিতর্কিত করার জন্য ২০ এপ্রিল অনলাইন এবং ২১ এপ্রিল প্রিন্টে ‘টার্গেট সরকার পতন, পিস্তলের গুলি চালিয়ে ছাত্রমৃত্যুর গুজব রটানো’ শিরোনামে খবর প্রচার করেছে দৈনিক জনকণ্ঠ।“

বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার মধ্যে প্রকাশিত এই সংবাদ প্রত্যাহার করে ক্ষমা না চাইলে সারা দেশে জনকণ্ঠ বর্জনসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।

নুর বলেন, চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার ঘোষণা বাস্তবায়নের দাবি সামনে রেখে ৩০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক মতবিনিময় সভা করা হবে।

সংগঠনটির আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দুই তিন দিনের মধ্যেই এই দাবি বাস্তবায়ন হওয়া উচিত ছিল। যদি এই মাসের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না করা হয় তাহলে ছাত্র সমাজ আবার রাজপথে নামবে। আমরা ঘরে বসে থাকবো না।”

সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান ৫৬ শতাংশ কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন করছে একদল চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থী। গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটাপ্রথা সংস্কারের আশ্বাস দিলে বাড়ি ফেরে তারা।

তবে এর আগেই এই আন্দোলনকে ঘিরে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পাঁচটি মামলা করেছে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলন থেকে মামলা দিয়ে আন্দোলনকারীদের হয়রানি না করার আহ্বান জানিয়ে নুর বলেন, “শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন বানচাল করার জন্য বহিরাগত সন্ত্রাসীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাড়িতে হামলা চালায়। তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার করে আসছে।

“কিন্তু পুলিশ এবং ঢাবি প্রশাসন কোনো রকম প্রমাণ ছাড়াই ৫টি অজ্ঞাতনামা মামলা দেয়। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা করছে। ১৬ এপ্রিল ধরে নিয়ে যাওয়া, ১৯ এপ্রিল সুফিয়া কামাল হল থেকে ছাত্রীদেরকে বের করে দেওয়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে ভীতির সঞ্চার করেছে।“

ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসানসহ অন্য নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।