বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মানিক মিয়া (৩৫)।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মানিকের শরীরের ৯৬ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
দুদিন আগে মিরপুরের ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ মানিক মিয়ার পরিবারের তিনজনের কেউই আর বাঁচল না।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের চার নম্বর রোডের পাঁচতলা ওই বাড়ির নিচতলার একটি ঘরে ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। বাড়ির কেয়ারটেকার মানিক স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নিচতলার ওই ঘরে থাকতেন।
আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মানিকের সাত মাস বয়সী ছেলে তামিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে বুধবার দুপুরে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তামিমের মা মিনা আক্তার (২২)। তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানিয়েছিলেন।
ফায়ার সার্ভিসের মিরপুর স্টেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আরেফিন অগ্নিকাণ্ডের পর বলেছিলেন, গ্যাস লাইনে ত্রুটির কারণে ওই বাসার গ্যাস জমে গিয়েছিল এবং ওই অবস্থার মধ্যে সিগারেট ধরাতে গেলে পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে তাদের ধারণা।