সেবা কেন্দ্রে প্রসব কমাবে নবজাতকের মৃত্যু: স্বাস্থ্যের ডিজি

নবজাতকের মৃত্যু হার কমাতে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে প্রসবের উপর জোর দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2018, 11:51 AM
Updated : 25 April 2018, 07:02 PM

তিনি বলেছেন, গর্ভবতী কোনো নারী সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে সেবা নিতে চাইলে সরকারের পক্ষ থেকে তা নিশ্চিত করা হবে।

বুধবার ইউনিসেফের সহযোগিতায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম আয়োজিত ‘প্রতিটি নবজাতককে বাঁচাতে হবে’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় একথা বলেন অধ্যাপক আজাদ।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম আয়োজিত এই সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমও উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক আজাদ বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব নিশ্চিত করতে পারলে নবজাতকের মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব।

“শতভাগ মাকে প্রতিষ্ঠানে এনে সন্তান জন্মদান করাতে পারলে, প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর উপস্থিতিতে সন্তান জন্মদান হলে শিশু মৃত্যুর হার কমবে।”

প্রতিটি জন্মের ক্ষেত্রে সহায়তা দেওয়ার সামর্থ্য সরকারের আছে কি না- সেই প্রশ্নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের অবশ্যই সামর্থ্য আছে। কোনো মা যদি কোনো সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা নেওয়ার জন্য আসেন, অবশ্যই স্বাস্থ্য সেবা পাবেন এবং আমরা সেটা নিশ্চিত করব।”

সবচেয়ে বেশি নবজাতকের মৃত্যু হয়, বিশ্বে এমন ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।

নবজাতকের মৃত্যুহার কমাতে সরকার চেষ্টা করছে জানিয়ে অধ্যাপক আজাদ বলেন, সহজ কিছু কারণ দূর করতে পারলে শিশু মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব।

অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সের যেসব শিশু মারা যায়, তার মধ্যে ৬১ ভাগই নবজাতক বলে তথ্য দেন তিনি।

অধ্যাপক আজাদ বলেন, “অর্ধেক শিশু (মৃত নবজাতকদের মধ্যে) মারা যায় জন্মের প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। জন্মের সাত দিনের মধ্যে অনেক নবজাতক মারা যায়।”

জন্মের প্রথম সাত দিন বিশেষ নজর রাখতে পারলে নবজাতকের মৃত্যু হার কমানো যাবে বলে মনে করেন তিনি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর সঞ্চালনায় এই গোলটেবিল বৈঠকে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী মোস্তফা সারোয়ার, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) বাংলাদেশ প্রতিনিধি অশা তরকেলসন, সেইভ দ্য চিলড্রেন এর ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেকটর ইশতিয়াক মান্নান, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ সীমা সেন গুপ্ত, ইউনিসেফ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান মায়া ভ্যানডেনান্ট এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপক মো. জিয়াউল মতিন আলোচনা করেন।

মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক প্রো-ভিসি ও হেড অব নিওনেটালজি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।