বুধবার ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সফিউল আজম স্ত্রীর সঙ্গে আপসের শর্তে আগামী ৬ মে পর্যন্ত আসিফের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
ওই সময়ের মধ্যে তাকে তার স্ত্রী শামীমা আক্তার অর্নির সঙ্গে আপস করতে বলা হয়েছে বলে ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আলী আকবর জানিয়েছেন।
শুটিং থেকে ফেরার পর গত ২২ এপ্রিল রাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আসিফকে গ্রেপ্তার করে হাজারীবাগ থানা পুলিশ। ওই সময় তিনি শুটিং শেষে মালয়েশিয়া থেকে ফিরছিলেন।
এর আগে ৬ মার্চ একই ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন শামীমা।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৫ সালের ৭ অগাস্ট কানাডা প্রবাসী শামীমা আক্তার অর্নির সঙ্গে কাজী আসিফের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বাদীর পরিবার ৭/৮ লাখ টাকার আসবাবপত্র দেয়। পরে বাদী আসামিকে গাড়ি কেনার জন্য ১৮ লাখ টাকা দেন। আসামি গাড়ি না কিনে ওই টাকা দিয়ে কী করেছে তা জানতে চাইলে ২ এপ্রিল আসামি আরও ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি ও মারধর করেন।
গ্রেপ্তারের পরদিন আসিফকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে আসিফের জামিনের আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী। ওইদিন বিচারক ২৫ এপ্রিল জামিন শুনানির দিন রেখে আসিফকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মামলা দায়েরের পর ঢাকা মহানগর হাকিম কাজী কামরুল ইসলাম বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে গত ২৭ মার্চ ট্রাইব্যুনালে কাজী আসিফের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত ২ এপ্রিল ট্রাইব্যুনাল ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ওই পরোয়ানা পেয়েই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
আসিফ ও অর্নি দম্পতির ৮ মাস বয়সি মেয়ে রয়েছে। অর্নি কানাডায় নার্স হিসেবে কাজ করেন। আসিফের গ্রামের বাড়ি যশোরে, অর্নির বরিশালে। মোবাইল কোম্পানি সিটি সেলের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বেশ আলোচনায় আসেন মডেল কাজী আসিফ। এরপর একাধিক বিজ্ঞাপন ও নাটকে অভিনয় করেন তিনি।