বুধবার দুপুর ২টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিনা আক্তার (২২)।
বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল বলেন, “মিনার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
“মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে মিনার স্বামী মানিক মিয়া (৩৫)। তার শরীরের ৯৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।”
তাদের সাত মাসের ছেলে তামিম মঙ্গলবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের পর হাসপাতালে মারা যায়।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের চার নম্বর রোডের পাঁচতলা ওই বাড়ির নিচতলার একটি ঘরে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
বাড়ির কেয়ারটেকার মানিক স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নিচতলার ওই ঘরে থাকতেন।
মিজান বলেন, ওই বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু তামিমকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. বাচ্চু মিয়া।
ফায়ার সার্ভিসের মিরপুর স্টেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, গ্যাস লাইনে ত্রুটির কারণে ওই বাসার গ্যাস জমে গিয়েছিল এবং ওই অবস্থার মধ্যে সিগারেট ধরাতে গেলে পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে ধারণা করছেন তারা।