এমপিদের প্রচারের সুযোগ হল না গাজীপুর-খুলনায়

ক্ষমতাসীন দলের প্রস্তাব এলেও আচরণবিধি সংশোধন না হওয়ায় সংসদ সদস্যরা গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না।

মঈনুল হক চৌধুরী জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2018, 05:09 PM
Updated : 26 April 2018, 09:11 AM

আগামী ১৫ মে অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর আগের দিন সোমবার গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিবউদ্দিন মন্ডল এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দের পরই বিদ্যমান বিধিতেই প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিসহ সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।”

ইসি কর্মকর্তারা জানান, আচরণ বিধিমালা সংশোধনের বিষয়ে কমিশন সভায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে আচরণ বিধিমালা পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

যেহেতু আচরণ বিধিমালা সংশোধন হয়নি, তাই মন্ত্রী বা এমপিরা প্রচার চালাতে পারবেন না বলে ইসি কর্মকর্তারা জানান।

গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন সোমবার বিকালে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছেন দুই রিটার্নিং কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে দলীয় মেয়র প্রার্থীরা নিজ দলীয় প্রতীক। আর স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী, সাধারণ কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাদ্দ দেওয়া প্রতীকে প্রচার চালাবেন।

নির্বাচন কমিশন ভবন

ইসির কর্মকর্তারা জানান, দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন করছে কি না তা দেখতে নির্বাহী হাকিম মাঠে থাকছেন। বিধিমালা লংঘনে ছয় মাসের জেল বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড দিতে পারবেন। আর রাজনৈতিক দল বিধি লংঘন করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

আচরণ বিধিমালা লংঘনের দায়ে প্রার্থিতা বাতিলেরও ক্ষমতাও রয়েছে ইসির।

গাজীপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, “সার্কিট হাউজ, ডাক বাংলোসহ সরকারি স্থাপনা প্রচার কাজে ব্যবহার করা যাবে না। পথসভা বা ঘরোয়া সভা ব্যতীত কোনো জনসভা বা শোভাযাত্রা করা যাবে না। পোস্টার ও লিফলেট নির্দিষ্ট আকারের হতে হবে। নির্বাচনী এলাকায় মিছিল বা শোডাউন করা যাবে না।”

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, দুই মেয়র প্রার্থীসহ ৩১জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ৩জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন মেয়র পদে ৭ জন, সংরক্ষিত আসনে ৮৪ এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫৬ জন।

খুলনা প্রতিনিধি জানান, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন ৩৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলেও কোনো মেয়র প্রার্থী প্রত্যাহার করেননি। ৩১টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।