রোববার দুপুরে ওই চিঠি ও ছবি পেয়ে নারায়ণগঞ্জের একটি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী সৈয়দা রওনক জাহান সেঁজুতি অনেক খুশি।
শিশুটির মা নাজমা বেগম সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আরে, আমার মেয়ে তো এই চিঠি পেয়ে আত্মহারা! একটু পর পর প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেখেছে।”
বেলা ১২টার দিকে ডাকযোগে প্রধানমন্ত্রীর চিঠি ও ছবি যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়া গ্রামে সেঁজুতিদের বাসায়।
গত বছর নভেম্বরে মারা যান সেঁজুতির দাদি। গত ২৫ মার্চ শেখ হাসিনাকে ওই চিঠি লেখে মেয়েটি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,
আস্সালামু আলাইকুম। তুমি কেমন আছ? দাদুকে হারিয়ে আমি ভালো নেই। তোমার মুখ আমার দাদুর মুখের মতো। বিশেষ করে তোমার নাক আমার দাদুর মতো। তাই আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তোমাকে টিভিতে দেখলে আমার দাদুর কথা মনে পড়ে। আমি দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ি। তুমি আমাদের বাসায় বেড়াতে এসো।
ইতি
তোমার স্নেহের
সেঁজুতি
সেঁজুতির চিঠি পড়ে প্রধানমন্ত্রী জবাব দিয়েছেন গত ১২ এপ্রিল।
প্রিয় সেঁজুতি,
তোমার চিঠি পেয়েছি। আমার স্নেহ এবং শুভেচ্ছা গ্রহণ কর। আশা করি তুমি বাবা, মা এবং বন্ধুদের নিয়ে খুব ভাল আছো। তোমার চিঠি আমি কয়েকবার পড়েছি। তোমার দাদুর জন্য দোয়া করেছি। তোমার দাদুকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন বেহেশত নসীব করুন। তুমি মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করবে এবং নিয়মিত স্কুলে যাবে। বাবা-মার কথা শুনবে এবং বড় হয়ে দেশের সেবা করবে। তোমার জন্য একটি ছবি পাঠালাম। অনেক অনেক দোয়া আর আদর রইল।
শেখ হাসিনা