রোববার মামলায় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ঢাকার মহানগর শিশু আদালতের বিচারক আল মামুন রায় ঘোষণার ওই দিন রাখেন।
এ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম আইনজীবী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মামলায় ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ২৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
২০১৩ সালের ১৬ অগাস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (রাজনৈতিক শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর ও তার স্ত্রী স্বপ্নার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মা-বাবা খুন হওয়ার পর পালিয়ে যায় স্কুলছাত্রী ঐশী।
এ ঘটনায় পরদিন নিহত মাহফুজুরের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।এরপর রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন ঐশী। ২৪ আগস্ট বাবা-মা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আবুল খায়ের মাতুব্বর আসামিদের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে দুটি পৃথক অভিযোগপত্র জমা দেন। সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় শিশু আইনে এবং ঐশীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সুমির মামলার বিচার কার্যক্রম শিশু আদালতে পরিচালিত হয়। ২০১৪ সালের ২০ মে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।
অপর মামলায় ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধান আসামি ঐশী রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। অপর দুই আসামি ঐশীর বন্ধু রনিকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও জনিকে খালাস দেওয়া হয়।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ৫ জুন ঐশীর সাজা কমিয়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় হাই কোর্ট।