‘খালেদার বিষয়ে জানতে’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিএনপি নেতারা

কারাগারে ‘অসুস্থ’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার ব্যর্থ চেষ্টার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের দ্বারস্থ হয়েছেন বিএনপির দুই নেতা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2018, 05:38 AM
Updated : 22 April 2018, 06:41 AM

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কক্ষে প্রবেশ করেন।

বেলা ১২টার দিকে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন মন্ত্রীর কক্ষে ঢুকেন।

এর আগে সোয়া ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের এক মানববন্ধনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, “কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যাব আমাদের নেত্রীর বিষয়ে জানতে।”

চিকিৎসকদের মধ্যে অধ্যাপক একেএম আজিজুল হক, এজেডএম জাহিদ হোসেন, ফরহাদ হালিম ডোনার, সিরাজউদ্দিন আহমেদ, আবদুল কুদ্দুস, রফিকুল কবির লাভু, মোস্তাক রহিম স্বপন, আবদুস সালাম, এসএম রফিবুল ইসলাম বাচ্চু ও সাহাবুদ্দিন আহমেদ বক্তব্য দেন।

পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়া ‘গুরুতর অসুস্থ’ হওয়ায় দোতলা থেকে নিচে নামতে না পারায় ১১দিন ধরে বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও পরিবারের সদস্যরা তার সাক্ষাৎ না পেয়ে দল ও পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন।

গত রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তে প্রতিনিধি দলটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলতে এলেন।

এর আগে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে তার সুচিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।

জিয়া এতিমখানা দুর্নীতির মামলায় ৫ বছরের দণ্ড নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের পুরনো কারাগারে বন্দি আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ার পর এই মাসের শুরুতে তার চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। তার অসুস্থতা গুরুতর নয় বলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বোর্ড জানিয়েছেন। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের পরামর্শে তার এক্সরে পরীক্ষা করতে ৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আনা হয়েছিলো।

তবে সরকারের গঠিত এই মেডিকেল বোর্ড নিয়ে বিএনপির অনাস্থা রয়েছে।

২৭ মার্চও বিএনপির এই প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। তবে ওই সময়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার জন্য মহানগর পুলিশের কাছে দুই দফায় অনুমতি না পেয়ে তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন।