সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকসহ তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মকে দেশের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের উত্তরণ: তরুণ প্রজন্মের করণীয়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, “দেশের সর্বস্তরে প্রযুক্তির বিস্তার ঘটছে। যার ফলে অনেক দুর্নীতি কমেছে। তরুণরা দিনে দিনে ডিজিটাইলাইজেশনের আওয়তাভুক্ত হয়েছে। তবে তরুণদের মধ্যে ফেইসবুকের আসক্তি বাড়ছে।
“তরুণরা দিনের অধিকাংশ সময় ফেইসবুকের মধ্যে মজে থাকছে। এখন আর তরুণরা ভালোভাবে লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে পারছে না। তরুণরা ফেইসবুক, ইন্টারনেটসহ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করবে, তবে তা আমাদের উন্নয়নে ব্যবহার করতে হবে।”
তরুণদের বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ পড়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মিজানুর রহমান বলেন, “সমাজে দুর্নীতি, ধর্মান্ধতা, বৈষম্য কমছে না। আমাদের এদিকে নজর দিতে হবে।
“আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। উন্নত বিশ্বে সকল কাজে তরুণদের অংশগ্রহণ দেখি, কিন্তু আমাদের দেশে একজন ড্রাইভারও পাওয়া যাবে না যে এসএসসি পাশ।”
তরুণদের উদ্ভাবনী কাজের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরির আহ্বান জানান তিনি।
হাসুমণির পাঠশালার সভাপতি মারুফা আক্তার পপির সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমডি বিভাগের সচিব মো. মফিজুর ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ।