শনিবার দুপুরে উত্তরায় র্যাবের সদরদপ্তরে এই তিনজনকে পালকিতে চড়িয়ে গান গাইতে গাইতে মঞ্চে নিয়ে আসেন একদল লোক। ওই ছবি ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন অনেকে।
তিনজনের পালকিতে চড়ার ছবি ফেইসবুকে পোস্ট করেছেন সাংবাদিক কুদ্দুস আফ্রাদ। তার ওই পোস্টেও অনেকে মন্তব্য করেছেন।
শাহীন খন্দকার নামে একজন লিখেছেন, “লিডার লক্ষণটা অতি উৎসাহী লাগছে?”
আনোয়ারুল করিম রাজু নামে আরেকজন লিখেছেন, “এটা করার কি প্রয়োজন ছিল, মাথায় ঢুকছে না।”
এই ঘটনার সমালোচনা করে এ কে এম রেজাউল করিম লিখেছেন, “এটা বর্বরতা। মানুষ হয়ে কেন আরেকজন মানুষের কাঁধে উঠতে হবে?”
কুদ্দুস আফ্রাদও তার পোস্টে কমেন্ট করেছেন: “এটা আমাদের সমাজ ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেমানান বটে। বিশেষ করে কারো কাঁধে চড়া।”
তিনি লিখেছেন, “একটু অহেতুক মনে হলেও নেতিবাচক বা দৃষ্টিকটূ ভাবার দরকার নেই মনে হয়। মাত্র ক্ষণিকের একটু কাঁধে তোলা। পালকির চলনও তো ছিল এদেশে। বিশেষ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ আয়োজনে কোনো ভূমিকা নেই। তার হামবড়া ভাবও নেই। বরং র্যাব সদস্যরা অতিথিদের সম্মানে নিজ উদ্যোগেই করেছেন মনে করি।”
এটাকে স্বাভাবিক মনে করছেন আরেক ইমরান এইচ সুমন নামের আরেক ফেইসবুক ব্যবহারকারী। তিনি লিখেছেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও ডিজি র্যাবের চেয়ারে বসা নিয়ে যাদের অনেক আপত্তি, তাদের বলছি, আপনারা কখনো রিকশায় উইঠেন না। ভাড়া দেনতো কী হইছে?”
“অনুষ্ঠানে আসা পালকিওয়ালাদের অনুরোধেই উনারা পালকিতে উঠেছিলেন। মাননীয় মন্ত্রী, আইজিপি ও র্যাব মহাপরিচালক তাদের খুশি করতেই পালকিতে উঠেছিলেন।”