অটিস্টিক শিশুর দায়িত্ব নিতে হবে রাষ্ট্রকেই: গণশিক্ষামন্ত্রী

দেশের অটিস্টিক শিশুদের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মাধ্যমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2018, 03:05 PM
Updated : 20 April 2018, 03:17 PM

শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা অডিটোরিয়ামে সোসাইটি ফর দি ওয়েলফেয়ার অব অটিস্টিক চিলড্রেন (সোয়াক) আয়োজিত ১১তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

মোস্তাফিজুর বলেন, “একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর মা বা বাবা না থাকলে যেন সেই শিশুটির কোনো সমস্যা না হয় তাই রাষ্ট্রকেই তার অভিভাবক হতে হবে।

“একটা রাষ্ট্র কতটা মানবিক তা তার দেশের শিশু, যুবা ও নারীর প্রতি আচরণই বলে দেয়।”

তিনি বলেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের মূলধারার শিক্ষায় সম্পৃক্ত করতে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। এর সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও ও ব্যক্তিদেরও সহায়তা করতে হবে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালউদ্দীন আহমেদ বলেন, “অটিস্টিক শিশুদের কোনো আনন্দের দিন নেই। এই শিশুদের জন্য কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানও নেই।

“আমাদের ছোটবেলায় বেশি অটিস্টিক শিশুর কথা শুনা যেত না। কিন্তু দিনে দিনে অটিস্টিক শিশুর সংখ্যা বাড়ছে।”

অটিস্টিক শিশুদের অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের খুব গুরুত্বের সাথে কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন ইনি সচিব।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দীন আহম্মদ চৌধুরী বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের যৌথ উদ্যোগে একটি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

সোয়াকের সচিব সাবিনা হোসেন বলেন, অটিজম মস্তিস্কের বিকাশের একটি প্রতিবন্ধকতা, যা শিশুর তিন বছর বয়সের মধ্যে প্রকাশ পায়। দ্রুত শনাক্তকরণ ও বিশেষ যত্নের মাধ্যমে এই শিশুরা মূলধারায় ফিরতে পারে।

“সোয়াকের অধীনে সারাদেশে বিভিন্ন সময়ে অটিস্টিক শিশুদের প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও অভিভাবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রত্যেকটি শিশু আলাদা, তাদের কর্মদক্ষতা আলাদা। সেটা বুঝে তাদের শিক্ষাপ্রদান করা হয়।”

সাবিনা জানান, ২০০০ সালে নিজস্ব উদ্যোগে অলাভজনক ও সমাজসেবামূলক হিসেবে তাদের এই প্রতিষ্ঠান শুরু হয়।এটি বাস্তবমুখী ও যুগোপযোগী শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার প্রামাণিক, নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মো. গোলাম রব্বানী, বাংলা টিভির পরিচালক ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আমিন হেলালী বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন সোয়াকের চেয়ারপার্সন সুবর্ণা চাকমা।

পরে সোয়াকের সহ-সভাপতি নকীব খান একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।