ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ বিহেভেরাল অ্যান্ড হেল্থকেয়ার রিসার্চে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাজার হাজার শিশুকে তাদের দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে দিনের পর দিন শ্রম কিনে নিজেদের মুনাফা বাড়িয়ে চলেছে বাংলাদেশের বিড়ি শিল্প।
এ থেকে পরিত্রাণের জন্য বিড়ি এবং অন্যান্য তামাকপণ্যে কর বাড়িয়ে সেইসাথে ভোক্তা পর্যায়েও এগুলোর দাম বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলা হয়েছে, “এতে যদি বিড়ির চাহিদা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনা যায়, তাহলে কারখানাগুলো বাধ্য হবে নিজেদের উৎপাদন এবং বিনিয়োগ কমিয়ে আনতে। ফলে হ্রাস পাবে বিড়ি কারখানাগুলোর শ্রমশক্তি, শিশুশ্রমের ব্যবহার কার্যকর সমাধান হবে।”
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর ও লালমনিরহাটে প্রচুর পরিমাণে তামাক চাষ হয়। এসব এলাকায় যেসব বিড়ি শিল্প রয়েছে সেখানকার শ্রমিকদের মধ্যে প্রায় ৬৫ভাগ শিশু শ্রমিক, যাদের বয়স ৪ থেকে ১৪ বছর। সেখানকার দারিদ্র্যের সুযোগে বিড়ি শিল্প মালিকরা এই শিশুদের শ্রমিক হিসাবে অত্যন্ত কম মজুরিতে কাজ করাচ্ছে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিড়ি কারখানায় কাজ করার কারণে শিশু শ্রমিকদের ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস, শ্বাসকষ্ট, ঘন ঘন জ্বর, কাশি, মাথাব্যথা, তলপেটের প্রদাহ, ডায়রিয়া ও পেশির ব্যথাসহ নানা রোগে ভুগতে দেখা যায়।
“সেখানকার শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের প্রায় ৮০ ভাগই বিড়ি কারখানার শ্রমিক ছিলেন।”