বৃহস্পতিবার লন্ডনের ন্যানক্যাস্টার হাউজে দুই নেতার বৈঠক হয় বলে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানিয়েছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন ইস্যু ও দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলাপ হয়েছে।”
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাওয়া হলে সরাসরি এর জবাব দেননি পররাষ্ট্র সচিব।
ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত তাদের অবস্থান অনেক পরিবর্তন করেছে। তারা আমাদের অনেক কাছের। তাদের (রোহিঙ্গাদের) পুর্নবাসনে সহায়তা করছে।”
আগামী মে মাসের শেষে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন হবে। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির সমাবর্তনে নরেন্দ্র মোদীর যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন করতে শেখ হাসিনাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
২০০৯ সালের পর কোনও ভারতীয় সরকার প্রধান হিসেবে নরেন্দ্র মোদী কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের সভায় এসেছেন।
আলোচনায় রোহিঙ্গা
সকালে বাকিংহাম প্যালেসে কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর বিভিন্ন সেশনে অংশ নেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে অনেকক্ষণ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘে যে পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন সেটারও পুনরুল্লেখ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে কমনওয়েলথের সমর্থন প্রত্যাশার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ অনেক নেতাই রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সম্মেলনে কথা বলেছেন বলে জানান শহীদুল হক।