কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর বৃহস্পতিবার প্রথম এক্সিকিউটিভ অধিবেশনে ট্রুডো এই আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, সেশনে কমনওয়েলথ মহাসচিবের উপস্থাপনা শেষে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে বিভিন্ন নেতার বক্তব্যের জন্য ফ্লোর উন্মুক্ত করে দেন।
“এসময় ট্রুডো বলেন, রোহিঙ্গা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ নেতৃত্বগুণ দেখিয়েছেন কমনওয়েলথ নেতাদের অবশ্যেই তাকে সমর্থন দিতে হবে।”
গত বছরের শেষ সময়ে রাখাইন প্রদেশে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর অত্যাচারের মূখে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে। গত কয়েকমাসে প্রায় ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এরফলে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার লন্ডনের এক সেমিনারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও চাপ সৃষ্টি করা উচিত বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তি হয়েছে এবং মিয়ানমার সম্মত হয়েছে।
“মিয়ানমার তাদের (রোহিঙ্গা)ফিরিয়ে নেয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে তা করছে না। তাই তাদের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরো চাপ সৃষ্টি করা উচিত।”