আসামি পক্ষের আইনজীবীরা মামলাটিতে অভিযোগের ‘অস্পষ্টতা’ তুলে ধরার পর ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জজ কামরুল হোসেন মোল্লা বৃহস্পতিবার সরকারি এই কর্মকর্তাকে জামিন দেন।
তবে জামিনের ক্ষেত্রে একটি শর্ত দেওয়া হয়েছে কুতুবকে, তা হল তার পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। অর্থাৎ তার বিদেশ যাওয়ার পথ বন্ধ।
দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করার পর প্রশাসনিক কর্মকর্তা কুতুবকে ইতোমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত ৮ এপ্রিল মামলা করার পরপরই কুতুবকে গ্রেপ্তার করেন দুদক কর্মকর্তারা। তারপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
জামিনের আদেশের পর দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কুতুবের আইনজীবী ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি সাঈদুর রহমান মানিক ও বর্তমান সভাপতি গোলাম মোস্তফা খান শুনানিতে বিচারককে বলেছেন যে কুতুবের কোনো বেনামী হস্তান্তর নাই। মামলার অভিযোগ স্পষ্ট নয়। আমরা দুদকের পক্ষ থেকে এ বক্তব্যের বিরোধিতা করেছিলাম।”
শ্বশুর ও আত্মীয়-স্বজনদের নামে অভিজাত এলাকা গুলশানে সরকারি ১০ কাঠা জমি ক্রয় দেখিয়ে কুতুব নিজেই বসবাস করে আসছিলেন বলে দুদকের অভিযোগ।
কুতুব ভুয়া আমমোক্তারনামামার মাধ্যমে ১০ কাঠার একটি প্লট তার শ্বশুরসহ কয়েকজন আত্মীয়ের নামে বরাদ্দ করে নিজে আত্মসাৎ করেন বলে গুলশান থানায় করা মামলায় অভিযোগ করেন দুদকের উপ-পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম।