অযত্নে বিপথগামী হয় সন্তান, ইন্টারনেটে নয়: জব্বার

ইন্টারনেটের কারণে ছেলেমেয়েরা বিপথগামী হয়ে যায় বলে ভুল ধারণাকে খণ্ডন করে তার জন্য বাবা-মায়ের অবহেলাকে দায়ী করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 April 2018, 07:36 AM
Updated : 19 April 2018, 07:41 AM

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তায় মেয়েদের সচেতনতা’ শীর্ষক এক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে তিনি ভার্চুয়াল জগতে শিশুদের নিরাপত্তা বিষয়ে কথা বলেন।

জব্বার বলেন, “পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লাইব্রেরি হচ্ছে ইন্টারনেট। এই ইন্টারনেট থেকে তাদের সরিয়ে রেখে আমরা তাদের কী শেখাব?  সন্তান বিপথগামী হয় বাবা মায়ের যত্নের অভাবে, পারিপার্শ্বিকতার কারণে।

“ইন্টারনেটে ঢুকে গেমস খেললে ছেলেমেয়েরা নষ্ট হয়ে যাবে, আমি এটা মনে করি না।”

আইসিটি অধিদপ্তরের ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রক (সিসিএ) কার্যালয়ের উদ্যোগে এই সচেতনামূলক কার্যক্রমটি পরে দেশের ১০০টি স্কুলের ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে পরিচালিত হবে।

আইসিটিমন্ত্রী বলেন, “প্রযুক্তির  ভালো দিকের পাশাপাশি অনেক খারাপ দিকও রয়েছে। আজকে কন্যা শিশুরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবেশ করতে না করতেই সে হয়রানির শিকার হচ্ছে, তাকে নিয়ে কেউ বাজে মন্তব্য করছে, ছবি বিকৃত করছে বা ভিডিও করে নানভাবে প্রচার করছে।

“অপরাধীদের উদ্দেশ্যে বলব, এসব মুছে ফেললেও কেউ পারবে না। যতভাবেই লুকানোর চেষ্টা করুক না কেন, আমরা মাটি খুঁড়ে তাদের বের করে আনব। আমাদের এখন সেসব প্রযুক্তি রয়েছে।”

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে জব্বার বলেন, “ভার্চুয়াল জগতে তোমরা নিজেদের মোটেও অসহায় মনে করবে না।  সরকার এসব অপরাধের প্রতিকার করবে। সরকার তোমাদের পাশে রয়েছে।”

এসময় শিক্ষার্থীদের ভার্চুয়াল জগতে প্রবেশের আগে নিজেদের নিরাপত্তা বিষয়ে ভালোভাবে জেনে-বুঝে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

‘ডিজিটাল নিরাপত্তায় মেয়েদের সচেতনতা’ শীর্ষক কর্মশালাটি নিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, “ভার্চুয়াল জগতে প্রতি মুহূর্তে যখন সাইবার অ্যাটাকের হুমকি রয়েছে, তখন আমরা সবার আগে মেয়েদের ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে চাই। তারা নিজেরা সতর্ক হবে, পাশাপাশি তারা পরিবার ও আশপাশের অনেককে সচেতন করে তুলবে। ”

অনুষ্ঠানে সিসিএ কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রক আবুল মানসুর মোহাম্মদ সার্ফ উদ্দিন স্বাগত বক্তব্য দেন, পরে ‘বি স্মার্ট’ শিরোনামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএসএসিএ-র ঢাকা চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি এ কে এম নজরুল হায়দার।