বিমানমন্ত্রীর দুঃখ

বিমানমন্ত্রী হয়েও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অনেক কার্যক্রম সম্পর্কে ‘অন্ধকারে থাকতে হওয়ায়’ দুঃখ প্রকাশ করেছেন এ কে এম শাহজাহান কামাল।

ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে তিনি বলেছেন, “আমি বিমানমন্ত্রী। আমি বাংলাদেশ বিমানের মন্ত্রী না। বেসরকারি যারা-ইউএস বাংলা, নভোএয়ার, আমি তাদের মন্ত্রী।”

তিন মাসে আগে মন্ত্রিসভায় এসে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান লক্ষ্মীপুরের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান কামাল।

বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে তিনি বলেন, “আমাকে বিমানমন্ত্রী বলা হয়। আমি দুঃখের সাথে বলি, আমার কী দায়িত্ব আছে? বিমানের মহাব্যবস্থাপককে আরেকবার পুনর্বহাল করা হয়েছে, তা একবারও আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়নি।” 

রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কোম্পানি হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে, যেখানে মন্ত্রীর তেমন কিছু করার থাকে না বলে আগের মন্ত্রী রাশেদ খান মেননও জানিয়েছিলেন।

মহাখালীর একটি হোটেলে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম আয়োজিত ওই সভায় বিমানের সেবার মান নিয়েও অসন্তোষ জানান শাহজাহান কামাল।

মন্ত্রী বলেন, “আপনাদের কাছে টিকিট আছে, অথচ প্যাসেঞ্জারকে বলেন টিকিট নেই। এই যে চুরি, এই যে ডাকাতি কেন হচ্ছে…কারা এজন্য দায়ী?

“এই যে বিশ্বাসঘাতকতা, এই যে মুনাফেকী..এটা কেন হচ্ছে?”

২০০৭ সালে কোম্পানি হওয়ার পর বিমান উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেনি বলে মনে করেন নতুন মন্ত্রী শাহজাহান কামাল।

“বিদেশি এয়ারলাইন্স এদেশে এসে কোটি টাকা নিয়ে গেলেও বিমান বছরের পর বছর লস কেন করছে?” প্রশ্ন করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের পরিচালক ও মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নাসির উদ্দিন, এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি নাদিরা কিরন ও সাধারণ সম্পাদক তানজিম আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন।