কমনওয়েলথ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে

কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকে যোগ দিতে লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রিয়াজুল বাশার লন্ডন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 April 2018, 02:55 AM
Updated : 17 April 2018, 06:11 PM

সোমবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১টার দিকে সৌদি সরকারের একটি বিশেষ ফ্লাইটে লন্ডনের লুটন বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান ব্রিটিশ সরকারের কমনওয়েলথ ও পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রটোকল পরচালক নেইল হল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাজমুল কাওনাইন।

বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আসা হয় ক্লারিজ হোটেলে। সাত দিনের লন্ডন সফরে এ হোটেলেই তিনি থাকবেন।

শেখ হাসিনা হোটেলে পৌঁছালে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তাকে সংবর্ধনা জানান।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মের আমন্ত্রণে ২৫তম কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা।

লন্ডনে আসার আগে সোমবার দাম্মামে গিয়ে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন মুসলিম দেশগুলোর জোটের যৌথ সামরিক মহড়া ‘গাল্ফ শিল্ড-ওয়ান' এর কুচকাওয়াজ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। 

১৭ থেকে ২১ এপ্রিল যুক্তরাজ্য সফরে মঙ্গলবার সকালে লন্ডনের ওয়েস্ট মিনস্টারে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্মেলন কক্ষে ‘এডুকেট টু এম্পাওয়ার: মেইকিং ইকুইটেবল অ্যান্ড কোয়ালিটি প্রাইমারি এডুকেশন অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন এ রিয়েলিটি ফর গার্লস অ্যাক্রস দ্য কমনওয়েলথ’ শীর্ষক অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

সম্মেলনস্থলেই যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক সহায়তা বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে শেখ হাসিনার সৌজন্য সাক্ষাত হবে। 

বিকালে যুক্তরাজ্যের গবেষণা সংস্থা ওডিআই আয়োজিত ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি: নীতি, অগ্রগতি ও সম্ভাবনা’শীর্ষক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন প্রধান বক্তা।

এছাড়া ১৮ এপ্রিল এশীয় নেতাদের অংশগ্রহণে ‘ক্যান এশিয়া কিপ গ্রোইং?’ শীর্ষ একটি গোলটেবিল আলোচনাতেও তিনি যোগ দেবেন।

সেদিন বিকালে তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান ও নৈশভোজে যোগ দেবেন। ১৯ এপ্রিল কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকের উদ্বোধনী ও অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

এছাড়া কমনওয়েলথ মহাসচিবের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের দেওয়া নৈশভোজেও প্রধানমন্ত্রীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

২০ এপ্রিল সম্মেলনের সমাপনী কার্যনির্বাহী অধিবেশনে অংশ নেওয়ার পরদিন তিনি রয়েল কমনওয়েলথ সোসাইটি (আরসিএস) আয়োজিত সংবর্ধনা এবং রানির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও তিনি অংশ নেবেন।

শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই সফরে তার সঙ্গে আছেন।

আট দিনের বিদেশ সফর শেষে আগামী ২৩ এপ্রিল দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।