ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রাজীবের হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, কিডনি কাজ করলেও মস্তিষ্ক এখনো সাড়া দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক মো. শামসুজ্জামান।
সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাজিবের অবস্থা আগের মতোই। বড় কোনো ইমপ্রুভমেন্ট নাই। তার হার্ট, লাংস, কিডনি ভাল, তবে ব্রেইনের অবস্থাই বেশি খারাপ।”
শনিবার রাজীবের প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেলেও এখন সেই সমস্যা নেই বলে জানান এ চিকিৎসক।
ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকের ছাত্র রাজীব গত ৩ এপ্রিল রাজধানীতে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের রেষারেষিতে হাত হারান। দুই বাসের চাপায় তার ডান কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
দুর্ঘটনায় রাজীবের মাথার সামনে-পেছনের হাড় ভেঙে যাওয়া ছাড়াও মস্তিষ্কের সামনের দিকে আঘাত লাগে। প্রথমে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নেওয়া হলেও সেখান থেকে পরে তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেলে। তার চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড।
ওই বোর্ডের প্রধান অর্থপেডিক্স বিভাগের অধ্যাপক শামসুজ্জামান বলেন, “ব্রেইন সাড়া দিলে বাকী সমস্যাগুলো ইজিলি সলভ করা যাবে। ব্রেইনে তো কারও হাত নাই।”
রাজীবের শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলো যতক্ষণ সচল থাকবে ততক্ষণ তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হবে বলে জানান শামসুজ্জামান।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামের রাজীব তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় মা এবং অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবাকে হারান। ঢাকার মতিঝিলে খালার বাসায় থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন স্নাতকে।
পড়ালেখার ফাঁকে একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করে নিজের আর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া দুই ভাইয়ের খরচ চালানোর সংগ্রাম করে আসছিলেন এই তরুণ।