টঙ্গী দুর্ঘটনা: ৫ ঘণ্টা পর ঢাকার পথে রেল চালু

টঙ্গীতে দুর্ঘটনার কারণে পাঁচ ঘণ্টা রেলপথ বন্ধ থাকার পর ঢাকা থেকে সারা দেশের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। 

আসিফ মাহমুদ অভিআবুল হোসেন ওবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 April 2018, 11:56 AM
Updated : 16 April 2018, 06:13 AM

জামালপুর থেকে ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার রোববার বেলা সোয়া ১২টার দিকে টঙ্গীর নতুনবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনায় পড়লে চারজন নিহত ও অন্তত ২৬ যাত্রী আহত হন।

ওই দুর্ঘটনার পর লাইন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের সঙ্গে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

পরে রিলিফ ট্রেন এসে আপ লাইন (ঢাকা থেকে যে লাইনে ট্রেন টঙ্গীতে আসে) ক্লিয়ার করলে সেই পথে ট্রেন চলাচল শুরু হয় বলে টঙ্গীর স্টেশন মাস্টার হালিমুজ্জামান জানান।

বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মিয়া জাহান জানান, বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ঈশাখা এক্সপ্রেস ওই দুর্ঘটনার কারণে আটকে ছিল।

লাইন ক্লিয়ার হওয়ার পর বিকাল সাড়ে ৫টায় ট্রেনটি টঙ্গী অতিক্রম করে।

ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে।

রেলওয় পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামানকে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন  জমা দিতে বলা হয়েছে।

জয়দেবপুর রেলওয়ে ফাঁড়ির এসআই রাকিবুল হক  জানান, টঙ্গী জংশন ছাড়ার পরপরই নতুনবাজার এলাকায় দুর্ঘটনায় পড়ে জামালপুর কমিউটার। 

“ট্রেনটি এক লাইন থেকে আরেক লাইনে যাওয়ার সময় একটি বগি মাঝে আটকে যায়। ওই অবস্থায় ট্রেনটি কয়েকশ গজ এগিয়ে যায়।”

কমলাপুর রেলওয়ে থানার ওসি মো. ইয়াসিন জানান, ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ার পর ছাদে থাকা যাত্রীরা লাফিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয় এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হন।

পাঁচ ঘণ্টা আটকে থাকা ঈশাখা এক্সপ্রেস টঙ্গী অতিক্রম করে বিকাল সাড়ে ৫টায়

আহতদের মধ্যে সাতজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর মো. শাহাদাত (৩৮) নামে আরও  একজনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে মেডিকেল ফাঁড়ির এএসআই  বাবুল মিয়া জানান।

ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি বাকি ছয়জন হলেন,  বাদল (২৮), সবুজ (৪০), ইসরাফিল (১২),আলমগীর (৩২), বাদল (৫০) ও মো. শরিফ (২৮)। তাদের শরীরে বিভিন্নস্থানে জখম রয়েছে।

টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ইরাম শাহরিয়ার জানান, ওই দুর্ঘটনায় আহত মোট ২৬জন বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত তার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছেন। তাদের মধ্যে আটজনকে তিনি ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

দুর্ঘটনায় নিহত চারজনের মধে্যে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে রেল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

তারা হলেন - নেত্রকোণার পূর্বধলা থানার কাতোয়ারি এলাকায় আব্বাস উদ্দিন খানের ছেলে হৃদয় খান (১৮), গাজীপুরের শ্রীপুর থানা এলাকার আব্দুল আলীর ছেলে মো. খোকন (৪২) ও ময়মনসিংহের পাগলা থানার নামানংগাইর এলাকার সালামত বেপারীর ছেলে আমির উদ্দিন (৩৫)।