রাজীবের অবস্থার উন্নতি হয়নি

দুই বাসের প্রতিযোগিতায় হাত হারানোর পর টানা পাঁচ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকা রাজীব হোসেনের শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 April 2018, 06:20 PM
Updated : 14 April 2018, 06:20 PM

এ শিক্ষার্থীর শরীরের অন্যান্য অংশ নিয়ে দুশ্চিন্তা না থাকলেও মস্তিষ্কের তেমন সাড়া না মেলায় চিন্তিত চিকিৎসকরা।

তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক মো. শামসুজ্জামান শনিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তার হার্ট খারাপ ছিল। কিন্তু এখন ভালো, একটু ইমপ্রুভমেন্ট হয়েছে। লাংসও ভালো। তবে প্রস্রাব হচ্ছে কম, ফলে কিডনি সাফার করতেছে। এটা একটা এলার্মিং।”

ডা. শামসুজ্জামান বলেন, "রাজীবের ব্রেইন আনচেঞ্জড, তার ব্রেইনের কোনো উন্নতি হয়নি। যদি ব্রেইনের ইমপ্রুভ হয়, তাহলে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু না হলে তো সম্ভব না।”

রাজীবের ফেরার লড়াই কঠিন হলেও আশা ছাড়ছেন না চিকিৎসকরা।

ডা. শামসুজ্জামান বলেন, “এটা হঠাৎ করে ইমপ্রুভ করবে না। তবে আমরা আশা ছাড়িনি।"

রাজীবকে রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে।

ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকের ছাত্র রাজীব গত ৩ এপ্রিল ঢাকার কারওয়ান বাজারে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের রেষারেষিতে হাত হারান। দুই বাসের চাপায় তার ডান কনুইয়ের উপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

দুর্ঘটনায় রাজীবের মাথার সামনে-পেছনের হাড় ভেঙে যাওয়া ছাড়াও মস্তিষ্কের সামনের দিকে আঘাত লাগে।

প্রথমে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নেওয়া হলেও সেখান থেকে পরে তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তার চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড।

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামের রাজীব তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় মা এবং অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবাকে হারান। ঢাকার মতিঝিলে খালার বাসায় থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন স্নাতকে।

পড়ালেখার ফাঁকে একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করে নিজের আর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া দুই ভাইয়ের খরচ চালানোর সংগ্রাম করে আসছিলেন এই তরুণ।

রিলেটেড স্টোরিজ: