বৃহস্পতিবার বিকালে সেগুনবাগিচার একটি রেস্তোরাঁয় বসে ‘ঘুষের পাঁচ লাখ টাকা’ নেওয়ার সময় নাজমুলকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ঢাকা বিভাগের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি দল।
এর আগে গত বছরের ১৮ জুলাই নিজের কার্যালয়ে বসে ‘ঘুষ নেওয়ার সময়’ নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছিল দুদক। তিনি এখন জামিনে রয়েছেন।
ফখরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত বছরের ২০ অগাস্ট এই পদে চলতি দায়িত্বে আসেন নাজমুল হক।
নাজমুলকে গ্রেপ্তারের বিবরণ দিয়ে দুদকের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মেসার্স সৈয়দ শিপিং লাইন্সের এমভি প্রিন্স অব সোহাগ নামের একটি যাত্রীবাহী নৌযানের নকশা অনুমোদন এবং নতুন নৌযানের নামকরণের অনাপত্তিপত্র দিতে ‘১৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন’ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী নাজমুল হক।
“এরপর ওই ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশনে বিষয়টি অবহিত করেন। কমিশন পরিচালক নাসিম আনোয়ারে নের্তৃত্বে নাজমুলকে গ্রেপ্তারের জন্য ফাঁদ পাতা হয়। ঘুষের টাকার কিস্তি বাবদ পাঁচ লাখ টাকা সেগুন রেস্তোরাঁ থেকে নাজমুল হক যখন গ্রহণ করছিলেন ঠিক তখনই ওঁৎ পেতে থাকা দুদকের কর্মকর্তারা হাতেনাতে তাকে গ্রেপ্তার করেন।”
এই ঘটনায় রাজধানীর রমনা থানায় দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে একটি মামলা করছেন বলে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচায্য জানিয়েছেন।