সেই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের ছয় সাক্ষীকে পুণরায় জেরা করার অনুমতি পেয়েছেন মামুনের আইনজীবীরা।
ছয় সাক্ষীকে পুনরায় জেরার আবেদন খারিজ করে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে মামুনের করা লিভ টু আপিলের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
গত বছর গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের এ আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছিল হাই কোর্ট।
আপিল বিভাগে মামুনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও এস এম শাহজাহান। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান।
বর্তমানে ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতে এ মামলার বিচার চলছে। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা নবম সাক্ষীকে জেরা করছেন। আগামী ২৫ এপ্রিল মামলাটি আবার উঠবে আদালতে।
খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, “আপিল বিভাগ বিচারিক আদালতকে চার মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে। আর রাষ্ট্রপক্ষের ছয় সাক্ষীকে ফের জেরা করার অনুমতি দিয়েছে আসামিপক্ষকে।”
দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, টঙ্গীর বিসিক শিল্প এলাকায় একটি ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কার্যাদেশ তারেক রহমানের মাধ্যমে পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে খাদিজা ইসলাম নামের একজনের কাছ থেকে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন মামুন। পরে ওই টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করা হয়।
খালেদা জিয়ার ছেলের বন্ধু মামুন জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে কারাগারে রয়েছেন। অর্থ পাচারের একটি মামলায় তারেকের সঙ্গে তারও সাজা হয়েছে।