তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দাবি করেছেন,‘বিদেশ থেকে পরিকল্পিতভাবে’ মঙ্গলবার রাতে এই সাইবার হামলা চালানো হয়।
ফেইসবুকে আসা বিভিন্ন পোস্ট থেকে জানা যায়, রাত সাড়ে ১০টার পরে কোনো এক সময় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের ওয়েবসাইটের হোম পেইজ বদলে দেয় হ্যাকাররা। সেখানে বসিয়ে দেয় কোটা সংস্কার আন্দোলনের বার্তা।
রাতেই ওয়েবসাইটগুলো পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং বুধবার সকালের মধ্যে ওয়েবসাইটগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরে।
ফেইসবুকে একজন বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট হ্যাকারের কবলে পড়ার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন।
তিনি বলেছেন, তিনি ওই সময়টাতে ওয়েবসাইটটি দেখছিলেন, তার চোখের সামনেই হোম পেইজ বদলে যায়।
হ্যাকাররা ওয়েবসাইটগুলো হ্যাক করার পর স্ক্রিনে ‘হ্যাকড বাই বাংলাদেশ’ লেখা ঝুলিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন বক্তব্যও ছিল।
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী পলক পাঁচটি ওয়েবসাইট হ্যাকড হওয়ার কথা স্বীকার করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সেগুলো পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে।
নিয়মিত ভিত্তিতে আক্রান্ত ওয়েবসাইটের তালিকা প্রকাশকারী সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক পোর্টাল ‘জোন এইচ’র আর্কাইভে রাত ১২টা পর্যন্ত বাংলাদেশের চারটি সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাকারের কবলে পড়ার তথ্য আসে।
গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশ পোর্টালে সাইবার হামলার চেষ্টা হচ্ছিল বলে জানান তিনি।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবির আন্দোলনে উত্তাল এখন দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে মুখর ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। তার মধ্যেই সরকারি ওয়েবসাইটগুলো আক্রান্ত হল।