কোটা সংস্কারের আন্দোলন নিয়ে সংসদে প্রশ্ন

কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 April 2018, 05:54 PM
Updated : 9 April 2018, 05:54 PM

সোমবার সংসদ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় আন্দোলনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ভাংচুরেরও সমালোচনা করা হয়।

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা সুযোগ পাবে না, রাজাকারের বাচ্চারা সুযোগ পাবে? তাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংকুচিত হবে?

“রাজধানীকেন্দ্রিক একটি এলিট শ্রেণি তৈরির চক্রান্ত চলছে। তারই মহড়া গতকাল আমরা দেখলাম।”

‘মতলববাজদের’ প্রতি কোনো শৈথিল্য না দেখানোর বিষয়েও অবস্থান জানান এই মন্ত্রী।

ডাকসুর সাবেক জিএস মতিয়া বলেন, “ছাত্রদের প্রতি আমাদের কোনো রাগ নেই। মতলববাজ, জামায়াত-শিবির, তাদের এজেন্টদের বিরুদ্ধে সামান্য শৈথিল্য দেখানো হবে না।”

রাতের আঁধারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসায় হামলার কঠোর সমালোচনা করেন মতিয়া।

তিনি বলেন, “কাপুরুষদের মুখ দেখানোর সাহস নেই। মুখোশ কেন পড়তে হবে? মুখোশ কারা পরে? যারা ভণ্ড-প্রতারক, তারাই মুখোশ পরে। ইতর হওয়ার একটা সীমা আছে।”

কোটা সংস্কার বিষয়ে সংসদে অনির্ধারিত আলোচনা শুরু করেন  স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজী।

নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামানের ছোট ভায়রা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কোটা সংস্কারের দাবি যুক্তিসঙ্গত। নাগরিকদের দাবি জানাবার, আন্দোলন করার অধিকার আছে।

“কিন্তু উপাচার্যের বাড়িতে যে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, তা তারা কি ভুল করে, না কি অনুপ্রবেশ ঘটেছে, এটা একটা বিষয়। বাংলাদশের ইতিহাসে এমনটা ঘটেনি।”

উপাচার্যের বাসভবন হয় ভাংচুরের শিকার

এই আন্দোলন নিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ সংসদত সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন।

তিনি বলেন, “কোটা সংস্কারের আন্দোলন চলাকালে এক ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে ইমরান এইচ সরকার মিথ্যা ফেইসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে নাটক সাজানোর চক্রান্ত চলছে। আমরাও ঘরে বসে থাকব না। প্রতিরোধে নামতে হবে।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে তুহিন বলেন, “এখনও ইমরান এইচ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা কেন করা হচ্ছে না? তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না কেন? সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হবে, আর আমরা ঘরে বসে থাকব না। আর প্রতিবাদ নয়; তাদের প্রতিরোধ করব।”

আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, “উপাচার্যের বাড়িতে রাতে প্রবেশ করে ফ্রিজ, আলমারি ভাঙা মালামাল তছনছ করা। এটাকে দাবি আদায়ের আন্দোলন বলা যাবে না। আন্দোলনের দাবি যৌক্তিক বা অযৌক্তিক হতে পারে। তবে সহিংসতা যৌক্তিক হতে পারে না।”

ইমরানের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “একজন ব্যক্তির ফেইসবুক পেইজে আহত একজনকে নিহত বলে পোস্ট দেওয়া হয়। যিনি মারা গেছেন বলে ফেইসবুকে পোস্ট দেওয়া হল, ওই ব্যক্তি পরে নিজে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন যে তিনি বেঁচে আছেন।”