রাজীবের জন্য চাকরির আশ্বাস স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

দুই বাসের চাপায় হাত হারানো কলেজ ছাত্র রাজীব হোসেনকে হাসপাতালে দেখে এসে তার চাকরির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 April 2018, 10:00 AM
Updated : 5 April 2018, 12:53 PM

সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীবের চিকিৎসার জন্য সাত সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

দুদিন আগে বাসে করে কলেজে যাওয়ার পথে কারওয়ান বাজারে সার্ক ফোয়ারার কাছে দুর্ঘটনার শিকার হন রাজীব। দুই বাসের চাপায় পড়ে তার ডান হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। 

প্রথমে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বুধবার সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর শয্যায় তিনি আছেন।

তাকে দেখতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেলে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি প্রায় আধাঘন্টা সেখানে থাকেন। 

মন্ত্রী রাজীবের মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দেন এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

পরে সাংবাদিকদের নাসিম বলেন, “ঘটনাটি দুঃখজনক। আগেই সে মা-বাবাকে হারিয়েছে। সে এখন এতিম।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শমরিতা হাসপাতালের যে বিল হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনে তা সরকার পরিশোধ করবে।

রাজীব সুস্থ হওয়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তার চাকরির আশ্বাস দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “তার কৃত্রিম হাত লাগানো যায় কিনা, সে বিষয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।”

যাদের দোষে রাজীব হাত হারিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

এর আগে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দীন জানান, রাজীবের চিকিৎসায় অর্থপেডিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শামসুজ্জামান শাহীনকে প্রধান করে বৃহস্পতিবার সকালে সাত সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

নিউরোসার্জারি, মেডিসিন, প্লাস্টিক সার্জারিসহ বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এই বোর্ডে আছেন জানিয়ে পরিচালক বলেন, “রাজীবের চিকিৎসার ব্যাপারে সব ধরনে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে।”

মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক শামসুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সিটিস্ক্যান করে রাজীবের মাথায় কিছু সমস্যা পাওয়া গেছে, তবে তা বড় কিছু নয়। তার হাতের ক্ষতস্থানে আরও দুইবার অস্ত্রোপচার করতে হতে পারে।