সংসদীয় সীমানা: আপত্তি জানিয়ে ৪ শতাধিক আবেদন

সংসদীয় সীমানা পরিবর্তনের পক্ষে-বিপক্ষে ৬০টি আসনে ৬২১টি আবেদন জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনে, এর মধ্যে ৪০৪টি আপত্তি জানিয়ে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 April 2018, 06:09 PM
Updated : 4 April 2018, 06:09 PM

চলতি মাসে এ আবেদনগুলোর দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে সংসদীয় আসনের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের খসড়া তালিকা প্রকাশ করে ইসি।

খসড়ায় ৪০ আসনে পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। এসব পরিবর্তনে আপত্তি জানিয়ে ইসিতে আবেদন করে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী ও এমপিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ১৬টি জেলার ৬০টি আসন থেকে ৬২১টি আবেদন আসে। এর মধ্যে বর্তমান সীমানায় আপত্তি জানিয়ে আবেদন পড়েছে ৪০৪টি, সীমানা পরিবর্তনে সহমত পোষণ করেছে ২১৭টি।

আগের সীমানা বহাল রাখতে আবেদন করেছেন চারজন মন্ত্রী ও ১৫ জন এমপি । অন্যদিকে সীমানায় পরিবর্তন চেয়েছেন তিনজন মন্ত্রী ও সাতজন এমপি।  এসব মন্ত্রী-এমপিরা আবেদনের পাশাপাশি কমিশনারদের সঙ্গে দেখা করছেন।

বর্তমান সীমানা পরিবর্তন চেয়ে আবেদনের মধ্যে রংপুরে ৬২টি, রাজশাহীতে ৪৫টি, খুলনায় ৪৩টি, বরিশালে ৮টি, ঢাকায় ৮২টি, সিলেটে ১৩২টি ও চট্টগ্রামে ৩২টি।

ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৪০টি আসনে পরিবর্তন আনা হলেও আমরা ৬০টি আসনের চার শতাধিক আপত্তি আবেদন পেয়েছি। কমিশনের সিদ্ধান্ত পেলে শিগগির বিভাগীয় পর্যায়ে শুনানি শুরু হবে।”

ইসি কর্মকর্তারা জানান, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের খসড়া তালিকা দাবি-আপত্তি শুনানির জন্য বিভাগ অনুযায়ী নথি উপস্থাপনের প্রস্তুতি চলছে। আগামী সপ্তাহের শুনানি হতে পারে। তবে আবেদন দেখে কমিশন সিদ্ধান্ত দেবে কিভাবে এবং কবে থেকে সীমানা পুনর্নির্ধারণে এসব দাবি-আপত্তির শুনানি শুরু করা হবে।

গত ১৪ মার্চ ১৬টি জেলার ৩৮টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এনে খসড়া তালিকা প্রকাশ করে ইসি। সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে জনসংখ্যার চেয়ে প্রশাসনিক অখণ্ডতা রক্ষার ওপর বেশি জোর দেয় ইসি। ফলে সংসদীয় আসনগুলোতে জনসংখ্যার ব্যবধান বাড়ছে।

ইসি প্রকাশিত গেজেটে দেখা যায়, এবার ছয়টি পদ্ধতি অনুসরণ করে সীমানাবিন্যাস হয়েছে। সেগুলো হলো ২০১৩ সালে নির্ধারিত জেলার আসনসংখ্যা ঠিক রাখা; প্রশাসনিক ইউনিট, বিশেষ করে উপজেলা এবং সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডের অখণ্ডতা যথাসম্ভব বজায় রাখা; ইউনিয়ন বা পৌর এলাকার ওয়ার্ড একাধিক আসনে বিভাজন না করা; যেসব নতুন প্রশাসনিক এলাকা সৃষ্টি হয়েছে বা বিলুপ্ত হয়েছে, তা অন্তর্ভুক্ত করা; বিলুপ্ত ছিটমহল এলাকা অন্তর্ভুক্ত করা এবং ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ও  যোগাযোগব্যবস্থা যথাযথ বিবেচনায় রাখা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে আগামী ৩০ এপ্রিল সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে ৩০০ আসনের সীমানা নির্ধারণ করে গেজেট আকারে প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।