রোববার রাতে মারামারি পর তিনজন হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, গণহত্যা দিবসের কর্মসূচি শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে হলের ক্যান্টিনের সামনে সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান ও সাধারণ সম্পাদক আসিফ তালুকদারের অনুসারীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে কমনরুমে ফের তর্কাতর্কি থেকে তা মারামারিতে রূপ নেয়।
কমনরুমে হল ছাত্রলীগের উপ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মুনিরুজ্জামানের (সাধারণ সম্পাদক আসিফ তালুকদারের অনুসারী) সঙ্গে মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক রিফাতের (সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানের অনুসারী) হাতাহাতির পর দুই পক্ষ রড, লাঠি নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়।
পরে হলের আবাসিক শিক্ষকদের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
হল ছাত্রলীগের সভাপতি সোহান মারামারির বিষয়টি অস্বীকার করলেও 'হালকা ধাক্কাধাক্কি'র কথা স্বীকার করেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছোট ভাইদের ক্যারাম খেলা নিয়ে একটা ঝামেলা হয়েছিল। আমি, সাধারণ সম্পাদক ও হলের স্যাররা মিলে সমাধান করে দিয়েছি।”
সাধারণ সম্পাদক আসিফ বলেন, “তৃতীয় বর্ষ আর চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্রকে করে একটু ভুল বোঝাবোঝি হয়। আমি আর সোহান হাউজ টিউটরদের নিয়ে সমাধান করে দিয়েছি।”
এ ঘটনাকে 'ভুল বোঝাবোঝি' বলছেন হলের প্রাধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্টুডেন্টদের মধ্যে একটা 'মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং' হয়েছিল। আবাসিক শিক্ষকরা মিটমাট করে দেয়।”
বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, “আমি শুনেছিলাম ঘটনাটা। সোহান,আসিফ হলের স্যারদের সাথে নিয়ে 'সরি বলিয়ে' ওদের মিলিয়ে দিয়েছে।”