মিরপুরে ‘পরিদর্শক জালাল হত্যার সন্দেহভাজন’ কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত

ঢাকার মিরপুরের পীরেরবাগ এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক যুবক নিহত হয়েছেন, যিনি ডিবি পরিদর্শক জালাল উদ্দিন হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2018, 04:15 AM
Updated : 23 March 2018, 04:55 AM

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তিনটি পিস্তল উদ্ধার করেছে, যার মধ্যে দুটি গত জানুয়ারিতে দুই পুলিশ সদস্যের বাড়ি থেকে চুরি করা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে পীরেরবাগ ৬০ ফুট রাস্তার ভাঙা ব্রিজ শাপলা হাউজিং এলাকায় গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে মিরপুর থানার এসআই আখলিমা আক্তারের ভাষ্য। 

তিনি বলেন, “গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযানে গেলে আগে থেকে সেখানে অবস্থান নিয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা গুলি করে। পুলিশও তখন পাল্টা গুলি চালায়।”

গোলাগুলি থামার পর সেখানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী এক যুবককে পাওয়া যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান এসআই আখলিমা।

গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) মো. মোখলেছুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিহত ওই যুবক পরিদর্শক জালাল হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন হাসান বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।”

তিনি বলেন, পুলিশের কাছে হাসানের যে ছবি আছে, তার সঙ্গে নিহতের চেহারার মিল পাওয়া গেছে। তবে স্বজনরা এসে লাশ শনাক্ত করলে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে। 

মো. জালালউদ্দিন

গত ১৯ মার্চ ওই এলাকায় অভিযানে গিয়ে এক বাড়ি থেকে ‘সন্ত্রাসীদের’ গুলিতে নিহত হন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জালাল উদ্দিন। 

সেই রাতে গোলাগুলির মধ্যে সন্ত্রাসীরা ওই বাড়ির পেছন দিক দিয়ে পালিয়ে যায় বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন। 

পীরেরবাগের একটি বাসার চতুর্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে গত ১০ জানুয়ারি ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মামুনুর রশীদ ও সোহেল রানার পিস্তল খোয়া যায়। ওই ঘটনার তদন্তে ছিলেন গোয়েন্দা ‍পুলিশের কর্মকর্তা জালাল।  

কিছুদিন আগে এক অপরাধীকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জালালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ১৯ মার্চ রাতে পীরেরবাগে হাসানের বাসায় অভিযানে গিয়েছিল বলে পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য।   

তারা বলছেন, হাসান ওই পিস্তল চুরির ঘটনায় জড়িত এবং জালাল হত্যার হোতা।

উপ-কমিশনার মোখলেছুর রহমান বলেন, “গত রাতে গোলাগুলির পর ঘটনাস্থলে তিনটি পিস্তল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পিস্তল সার্জেন্ট রশীদ আর রানার খোয়া যাওয়া সরকারি পিস্তল।”

বৃহস্পতিবার রাতে গোলাগুলির পর নিহত যুবকের সুরতহাল করেন মিরপুর থানার এসআই মঞ্জুর রাহী। তিনি জানান, ওই যুবকের শরীরে তিনটি গুলির চিহ্ন রয়েছে।