শাওনকে বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে সাত দিনের জন্য হেফাজেত চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান। অন্যদিকে শাওনের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার জামিন আবেদন নাকচ করে এক দিন পুলিশ হেফাজতের আদেশ দেন।
হেফাজতের আবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার ফার্মগেইটের তেজগাঁও কলেজে দুপুর ২টায় পুলিশ বাহিনীর এসআই (নিরস্ত্র)/২০১৮ পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষায় শাওন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে প্রশ্ন সরবরাহ এবং উত্তর সংগ্রহ করে।
“সন্দেহ হলে তার দেহ তল্লাশি করে বাম পায়ের মোজার ভেতর থেকে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন, তার চাচাত ভাই এ মামলার পলাতক আসামি রিফাত তালুকদারের সহায়তার ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর সরবরাহ করে। তাই পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার ও অপরাধী চক্রকে শনাক্ত করার জন্য আসামিকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন।”
মঙ্গলবার শাওনকে গ্রেপ্তারের পর শেরেবাংলা নগর থানায় পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান আদালত পুলিশের এস আই আলতাফ হোসেন।