সৈয়দপুরের ফ্লাইটটি বাতিলই করল বিমান

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মাঝ আকাশ থেকে ফিরে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সৈয়দপুরগামী ফ্লাইটটি শেষে বাতিল করা হয়েছে।

ফয়সাল আতিক নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 March 2018, 04:58 PM
Updated : 20 March 2018, 05:00 PM

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ৬৫ জন যাত্রী নিয়ে উত্তরাঞ্চলের সৈয়দপুর বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থাটির ড্যাশ কিউ৪০০ উড়োজাহাজটি।

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উড্ডয়নের ৪০ মিনিটের মাথায় তা আবার ফিরে এসে ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে বলে বিমানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিমান বাংলাদেশের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “বিকাল ৩টার মধ্যেই বিমানটির ত্রুটি মেরামত করে উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিলেও ‘নানা বাধার কারণে এদিন সৈয়দপুর যাওয়া সম্ভব হয়নি। পরে ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়।”

এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, যাত্রীরা তাদের টিকেটের মূল্য ফেরত পাবেন।

কী বাধা ছিল- জানতে চাইলে শাকিল মেরাজ বলেন, “বিকাল ৩টার মধ্যেই সৈয়দপুরগামী বিমানটির যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামত করা হয়। তখন আবার উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিয়েও রানওয়ে ফাঁকা পাওয়া যায়নি।

“দীর্ঘ সময় রানওয়ে ব্যস্ত থাকর পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা বিমানবন্দরের রানওয়ে ফাঁকা হয়। কিন্তু সেই সময়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের কন্ট্রোল রুমের কর্মকর্তাদের ডিউটি আওয়ার শেষ হওয়ায় তারা অপারগতা প্রকাশ করেন।”

“এক পর্যায়ে সৈয়দপুরে কর্মকর্তাদের রাজি করানো হলেও ততক্ষণে যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে পড়েন। ফলে বাধ্য হয়ে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিমানের ফ্লাইটটি বাতিল করেতে হয়েছে,” দিনের পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন শাকিল মেরাজ।

নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ড্যাশ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় পড়ার এক সপ্তাহের ভেতরে বিমানের এই ঘটনা ঘটল।

(ফাইল ছবি)

সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপক আবু আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ড্যাশ-৮ কিউ৪০০ মডেলের ওই উড়োজাহাজে করে ঢাকা থেকে ৬৫ জন যাত্রী সৈয়দপুরে যাচ্ছিলেন। আর সৈয়দপুর থেকে ফিরতি ফ্লাইটে ওই বিমানে ঢাকা যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন ৭৪ জন।

কী সমস্যার কারণে মাঝ আকাশ থেকে ফিরতে হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “উড়োজাহাজের ভেতরে ‘এয়ার প্রেশারে’ সমস্যা হচ্ছিল। এ কারণে সেটি আর সৈয়দপুরে না গিয়ে ঢাকায় নেমে পড়ে।” 

কয়েকটি গণমাধ্যমে বিমানের এই ফিরে যাওয়াকে ‘জরুরি অবতরণ’ বলে উল্লেখ করা হলেও তা নাকচ করে দেন শাকিল মেরাজ।

“জরুরি অবতরণ একটা বড় ব্যাপার। জরুরি অবতরণের সময় সংশ্লিষ্ট বিমান বন্দরকে অন্তত ১০টি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তত রাখতে হয়। ফায়ার সার্ভিসকে প্রস্তত রাখতে হয়। কিন্তু এমন কিছুই এদিন ঘটেনি।”