সংগঠনটি মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, মোবাইল অপারেটর ও এমএনপি লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে গঠিত একটি ওয়ার্কিং কমিটি গ্রাহকবান্ধব এমএনপি প্রক্রিয়া চালুর জন্য কাজ করছে।
একটি কার্যকর এমএনপি প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পরপরই এমএনপি লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সকল স্টেকহোল্ডারের সমন্বয়ে যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়নের পর সেবাটি চালু করবে বলে আশা প্রকাশ করে অ্যামটব।
মোবাইল ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের প্রক্রিয়া মার্চ-এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেবাটি শুরু করার জন্য অপারেটররা নাম্বার পোর্টিং সংক্রান্ত কারিগরি নির্দেশনা এখনো পায়নি বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
“সেবাটি চালু করতে প্রত্যেকটি অপারেটরকে নাম্বার পোর্টিং সংক্রান্ত কারিগরি নির্দেশনা দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় মোবাইল ফোন অপারেটররা এখনও এমন কোনো নির্দেশনা পায়নি।”
মোবাইল ফোন অপারেটররা দেশে এমএনপি চালুর প্রক্রিয়া ধীর করে দিচ্ছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে অ্যামটব বলেছে, ‘এ ধরনের অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং চরম বিভ্রান্তিকর’।
অ্যামটব বলছে, এমএনপি একটি জটিল প্রক্রিয়া যাতে গ্রাহকদের লেনদেনের বিষয়টি জড়িত। বাংলাদেশ সম্ভবত পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে ৬০টি গেটওয়ে (ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ, ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে, ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) এবং বহু অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক সার্ভিস অপারেটর (মোবাইল অপারেটরস, আইপিটিএসপি, বিডব্লিওএ অপারেটর, পিএসটিএন অপারেটর ইত্যাদি) রয়েছে। এ থেকেই বোঝা যায় বিষয়টি কতটা জটিল।
“বর্তমান টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের জটিলতা মাথায় রেখে অ্যামটবের চাওয়া এ সকল স্টেহোল্ডারের মধ্যে একটি সঠিক সমন্বয়।”