ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম মঙ্গলবার জানান, আফসানা খানমের অবস্থা অপরিবর্তিত। তিনি লাইফ সাপোর্টে আছেন।
দুর্ঘটনায় আবিদ সুলতানের মৃত্যুর পর ‘স্ট্রোক’ হলে গত রোববার শেরেবাংলা নগরের ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আফসানাকে। প্রথম দিন অস্ত্রোপচার করার পর পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে তাকে নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে ।
ডা. বদরুল আলম বলেন, “তার (আফসানা) ব্লাড প্রেশার এখন ১২০/৮০। তার লিভার, কিডনি, হার্ট সচল আছে। ইউরিন ফাংশনও ঠিক আছে। মেশিনের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন। ব্রেইন কিছুটা কাজ করছে না। আর সবকিছু সচল আছে।”
বদরুল আলম জানান, আফসানার চিকিৎসার জন্য গঠিত ১৪ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার সকালে সাত সদস্যের আরেকটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করার কথা ভাবা হচ্ছে।
তাকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়ার প্রয়োজন আছে কি না- এমন প্রশ্নে বদরুল আলম বলেন, “বাইরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। কারণ যে পরিমাণ ভেন্টিলেশন তার দরকার, সেটা দেওয়া সম্ভব হবে না। তার ব্রেইনের উপরের খুলির একটা অংশ খুলে রাখা হয়েছে। ব্রেইনের প্রেসার কমলে ওটা আবার লাগানো হবে।”
ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হলে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৪৯ জনের মৃত্যু হয়। ওই ফ্লাইটের প্রধান বৈমানিক ছিলেন বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা আবিদ সুলতান।
আবিদসহ ওই দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ জনের মরদেহ রোববার দেশে ফিরিয়ে এনে আর্মি স্টেডিয়ামে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মাকে হাসপাতালে রেখে বাবার লাশ আনতে গিয়েছিলেন আবিদ-আফসানার একমাত্র ছেলে তানজিদ সুলতান।