পাঁচ দিনের ছুটি নিয়ে নেপালে বেড়াতে যেতে গত ১২ মার্চ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে উঠেছিলেন ফয়সাল। ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হলে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন মারা যান।
নিহত বাংলাদেশিদের মধ্যে ফয়সালসহ ২৩ জনের লাশ সোমবার দেশে আনার পর আর্মি স্টেডিয়ামে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মরদেহ সন্ধ্যায় নেওয়া হয় তার কর্মস্থল বৈশাখী টেলিভিশনের সামনে। তখন সহকর্মীদের কান্নায় এক শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
বৈশাখী টেলিভিশনে জানাজা শেষে সহকর্মীরা শেষ শ্রদ্ধা জানান ফয়সালকে।
২০১২ সালে প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশনটিতে কাজ শুরু করেন তিনি। পরে ২০১৪ সাল থেকে রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
কর্মস্থলে শেষ বিদায়ের পর ফয়সালের মরদেহ নেওয়া হয় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে। সেখানে জানাজার পর সাংবাদিকরা শ্রদ্ধা জানান ফয়সালের প্রতি।
এরপর ফয়সালের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সমাহিত হবেন তিনি।
ফয়সালের মামা মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, “ফয়সাল প্রায় সময়েই ঘুরতে বেড়াত। কখনও ব্যক্তিগতভাবে, আবার কখনও অফিসের কাজে।
“কিন্তু নেপাল ঘুরতে গিয়ে এভাবে মারা যাবে, এত দ্রুত সে চলে যাবে- সেটা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।”