পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বাতিল চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন আপিল করার পর সোমবার দুদকের এই সিদ্ধান্ত জানান সংস্থার আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিচারিক আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছে। এ সাজার বিরুদ্ধে অর্থাৎ সাজা বৃদ্ধি চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
“আমাকে বলা হয়েছে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। আমি প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। খুব শিগগিরই আপিল করা হবে।”
ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। তবে খালেদার ছেলে তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে দেওয়া হয় ১০ বছরের কারাদণ্ড।
শারীরিক অবস্থা, বয়স এবং সামাজিক পরিচয় বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
তবে বিএনপি দাবি করে আসছে, নির্বাচন থেকে খালেদা জিয়াকে বা্ইরে রাখতে সরকারের ‘সাজানো মামলায় গায়ের জোরে’ তাকে সাজা দিয়ে এই রায় দেওয়া হয়েছে।
কারাদণ্ডাদেশ পাওয়ার পর থেকে খালেদা পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের পুরনো কারাগারে বন্দি আছেন। তার জামিনে মুক্তি আটকাতেও সরকার বাধা দিচ্ছে বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ।
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর মামলার নথি নিম্ন আদালত থেকে এনে তা দেখে গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেয় হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ।
এ জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আবেদনের পর নিয়মিত লিভ টু আপিল করলে আপিল বিভাগ তা গ্রহণ করে আগামী ৮ মে আপিল শুনানির জন্য রেখেছে। ফলে সে পর্যন্ত বের হতে পারছেন না খালেদা।
সোমবার সকালে সর্বোচ্চ আদালত থেকে এ আদেশ পাওয়ার পর বিকালে সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের আপিলের সিদ্ধান্ত এল।