শাহীন ব্যাপারীর আগুনের ক্ষত ধারণার দ্বিগুণ: চিকিৎসক

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের আহত যাত্রী শাহীন ব্যাপারীর দেহের ১৬ শতাংশ পুড়েছিল বলে নেপাল থেকে আনার পর জানানো হয়েছিল; কিন্তু তাকে পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসকরা বলছেন, আগুনের ক্ষত এর দ্বিগুণ।

সাজিয়া আফরিন ও তারেক হাসান নির্ঝরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2018, 11:51 AM
Updated : 19 March 2018, 02:10 PM

সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন আহত শাহীন ব্যাপারীর সর্বশেষ অবস্থা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুতে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর এতে আগুন ধরে যায়। যাত্রীদের মধ্যে শাহীনসহ ১০ বাংলাদেশি বেঁচে গেলেও তাদের প্রায় সবার দেহেই আগুনের ক্ষত রয়েছে।

নেপালের হাসপাতালে ছয় দিন চিকিৎসার পর রোববার শাহীনকে দেশে এনে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।   

সামন্ত লাল বলেন, আহত যে ছয়জনকে বাংলাদেশে আনা হয়েছে, তার মধ্যে শাহীনের অবস্থা সবচেয়ে গুরুতর।

তিনি বলেন, “নেপাল থেকে দেওয়া কাগজপত্রে শাহীনের বার্ন ১৬ শতাংশ সম্পর্কে যে তথ্য দেওয়া হয়েছিল, আজ ড্রেসিং করতে গিয়ে চিকিৎসকরা তার ক্ষতের পরিমাণ দ্বিগুণ দেখেছেন। 

আহত শাহীন ব্যাপারী

“শাহীন ব্যাপারীর বার্ন মোর দ্যান থার্টি পারসেন্ট। এটা 'ডিপ বার্ন'। সবচেয়ে বেশি অসুস্থ্য শাহীন ব্যাপারী। এ ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। তাকে খুব তাড়াতাড়ি হয়ত একটা অপারেশন করব। অনেকগুলো ফ্যাক্টর জড়িত তো....”

শাহীন স্ত্রী রিমা ও আট বছরের মেয়ে সূচনাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের আদমজীর একটি বাসায় থাকেন। ঢাকার সদরঘাটে 'করিম এন্ড সন্স' নামে একটি কাপড়ের দোকানে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন তিনি।

শাহীনের পর শাহরিন আহমেদের ক্ষতের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বলে জানান সামন্ত লাল। তিনি বলেন, “এ দুজনকে নিয়ে আমরা একটু চিন্তিত।”

শাহরিন আহমেদের আগুনের ক্ষতের পরিমাণ আগে ৫ শতাংশ বলা হলেও সামন্ত লাল এখন বলছেন, “শাহরিনেরও 'ডিপ বার্ন'। ১০ পারসেন্টের মতো হবে শোল্ডারে। তাকেও অপারেশন করতে হবে।”

আহত শাহরিন আহমেদ

নেপাল থেকে শাহরিনকেই প্রথম দেশে আনা হয়েছিল; এরপর সোমবার শাহীনকে আনার আগে আনা হয় সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা, তার স্বামী মেহেদী হাসান অমিয়, মেহেদীর ফুপাত ভাইয়ের স্ত্রী আলমুন আরা অ্যানি এবং শেখ রাশেদ রুবায়েতকে।

এই চারজনের বিষয়ে সামন্ত লাল বলেন, আরও সপ্তাহখানেক হাসপাতালেই তাদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। 

এই রোগীদের চিকিৎসায় ১৩ জন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে একটি বোর্ড গঠন করেছে সরকার।

সামন্ত লাল বলেন, “বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের চিকিৎসা যেভাবে চলছিল সেভাবেই চলবে। অপারেশনের সিদ্ধান্ত সবাই মিলেই আলাপ-আলোচনা করে গ্রহণ করবে।”