জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা অনুমোদন

সংকটে বা যুদ্ধকালীন সময়ে সামরিক বাহিনীর কর্তৃত্বে আধা সামরিক ও সহায়ক বাহিনী পরিচালনার বিধান রেখে করে নতুন প্রতিরক্ষা নীতিমালার খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2018, 11:43 AM
Updated : 19 March 2018, 11:43 AM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা-২০১৮’ এর খসড়া অনুমোদিত হয়।

পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি ব্রডবেইজ নীতিমালা। সুনির্দিষ্টভাবে আইনের মতো নয়। নীতিমালা হওয়ায় জেনারালাইজড ফর্মে এটি আনা হয়েছে। এটি বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে দেওয়া হয়েছে।”

১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু একটি নীতিমালা দিয়ে গিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেটার উপর ভিত্তি করে আরও বিস্তৃতভাবে নতুন নীতিমালাটি করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “নীতিমালা শুরুতে রয়েছে মুখবন্ধ। এই নীতিমালায় সরকারে প্রতিরক্ষা পরিকল্পনায় সরকারের সাধারণ রূপরেখা বর্ণিত হয়েছে। এর লক্ষ্য জাতীয় অগ্রগণ্যতা, আইনি কাঠামো ও সম্পদের ভিত্তিতে সশস্ত্র বাহিনীর যথাযথ ভূমিকায় গণমতের প্রতিফলন ঘটনো।

“এই প্রতিরক্ষা নীতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের প্রতিরক্ষা পরিবেশ সম্পর্কে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করবে। এছাড়াও এই দলিল সার্বিক পরিসরে প্রতিরক্ষা কর্র্মবিভাগের চলমান ও পরিকল্পিত সক্ষমতা ও ভূমিকা সম্পর্কে ধারণা দেবে।”

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এ নীতিমালা অনুযায়ী ক্রাইসিস বা যুদ্ধকালীন আধা সামরিক ও সহায়ক বাহিনী সামরিক বাহিনীর অপারেশনাল কমান্ডে থাকবে। যেমন বিজিবি, কোস্টগার্ড, বিএনসিসি, পুলিশ বাহিনী, আনসার, গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী অন্যান্য প্রতিরক্ষা দল ক্রান্তিকালীন সেনবাহিনীর সঙ্গে কাজ করবে।”

সামরিক ও অসামরিক সম্পর্ক কি হবে, সশস্ত্র বাহিনী ও নাগরিকদের সঙ্গে সম্পর্ক কী হবে এটি আরেকটা চ্যাপ্টারে বলা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গণমাধ্যমের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক কি হবে সেটাও ডিটেইল করা আছে।

নীতিমালায় উল্লেখ করা গণমাধ্যমের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সচেতন নাগরিক সশস্ত্র বাহিনীর সবচেয়ে ভাল বন্ধু। নিরাপত্তা সম্পর্কিত অনুমোদিত তথ্য দায়িত্বশীল প্রচারণার মাধ্যমে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সুতরাং একটি বন্ধুপ্রতীম গণমাধ্যম-সামরিক সম্পর্ক অপরিহার্য। গণমাধ্যম-সামরিক সম্পর্ক অত্যন্ত সংবেদনশীল কারণ এ দুটি প্রতিষ্ঠান জাতীয় সক্ষমতার উপাদান। উভয়ই নিজ নিজ অবস্থান থেকে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।