প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন ২০১৮’এর খসড়া অনুমোদিত হয়।
পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, আইনের ৮ (১) ধারা লঙ্ঘনে বা ভেজাল সার বিক্রিতে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক ৩০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড ছিল। সেখানে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড প্রস্তাব করা হয়েছে।
“২০০৬ সালের এই আইনের সংজ্ঞায় একটি শব্দ যুক্ত করা হয়েছে তা হল ‘আবশ্যকীয় উদ্ভিদ উপাদান’, সংযোজনে পুষ্টির বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সংজ্ঞার ২ এর ২০ অনুচ্ছেদে ‘মিক্সড ফার্টিলাইজার’ পরিবর্তন করে ‘সুষম সার’ করা হয়েছে বা ‘মিক্সড ব্যালেন্স ফার্টিলাইজার’ করা হয়েছে।”
এছাড়া আইনে জাতীয় সার প্রমিতকরণ কমিটিকে ১৫ সদস্য থেকে ১৭ সদস্য করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইনে চূড়ান্ত অনুমোদন
এছাড়া মন্ত্রিসভায় ‘বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮’এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
সরকার যেটুকু ঘোষণা করবে সেটুকু বরেন্দ্র এলাকা হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “বরেন্দ্র এলাকা বলতে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সব জেলাকে বোঝাবে। অর্থাৎ বৃহত্তর রাজশাহী বিভাগ নিয়ে এই বরেন্দ্র এলাকা গঠিত হবে।
আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন করে যে কোনো এলাকাকে বরেন্দ্র এলাকা হিসেবে ঘোষণা করতে পারবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এছাড়া বৈঠকে ‘বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “সাভারের বিএলআরআই, এটি লাইভস্টক রিসার্চ ইনন্সটিউট ১৯৮৪ সালের একটি অর্ডিনেন্সের মাধ্যমে চলছে, সামরিক আমলের অর্ডিনেন্সগুলো আইনে রূপান্তর করতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনায় এ আইন করা হয়েছে।”