বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের আলোচনা অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে যারা এক সময় আমাদের দিকে করুণার চোখে তাকাত.. আর, একটা ঋণ দিতে গেলে, একটা প্রজেক্ট করতে গেলে হাজার রকম শর্ত জুড়ে দিত, দুর্নীতি না করলেও দুর্নীতির অপবাদ দিয়ে প্রজেক্টের টাকা বন্ধ করে দেওয়া.. যেমন, পদ্মা সেতুর মতো।
“আর, এটা করতে পারবে না। সেই সাহস আর পাবে না। আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশ।”
জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতি দিয়েছে। শুক্রবার এই সংক্রান্ত চিঠি হস্তান্তর করে তারা।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের ঋণ পেতে কোনো অসুবিধা হবে না। সুদ হয়ত একটু বেশি দিতে হবে। তাতে কিছু আসে যায় না। ওটুকু আমরা দিতে পারি।”
জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোকে উন্নত, উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত এই তিন শ্রেণিতে ভাগ করে। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
৩৭ বছরেই উত্তরণে বিস্ময় প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, “এ অর্জন বাংলাদেশ করতে পারত আরও অনেক পূর্বে, যদি না ৭৫’র ১৫ অগাস্টের মতো একটা কালো দিবস বাঙালির জীবনে আসত।
“যদি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বেঁচে থাকতেন.. তিন বছরের মধ্যে যেহেতু আমরা স্বল্পোন্নত দেশ হয়েছিলাম। হয়ত আর মাত্র পাঁচটা বছর হাতে পেলে পরে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে গ্রাজুয়েশন হত; এটা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। এটা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি; স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নত হতে পারত।”
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই মূল লক্ষ্য, বলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
“তিনি যে কাজগুলো করে যেতে পারলেন না; তা অধরা কাজগুলো সম্পন্ন করাই তো আমার দায়িত্ব।”
সরকারের ধারাবাহিকতা থাকার উপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “২০১৪ এর নির্বাচনে আমরা জয়ী হয়েছি বলেই আজকে উন্নয়নের ছোঁয়াটা মানুষ পাচ্ছে। যদি আমরা না আসতে পারতাম, সব কাজগুলো নষ্ট করে দিত। যেটা ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট করেছিল।
“আমাদের যে মূল টার্গেট ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ করব। আর, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে; সেই লক্ষ্য আমরা অর্জন করতে পারব। আন্তরিকার সাথে কাজ করলে যে, কাজ করা যায়; সেটা আমরা প্রমাণ করেছি।”