রোববার বিকালে ঢাকায় শাহজালাল বিমানবন্দরে নামার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়।
নেপাল থেকে আনার পর ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে এখন শাহীন ব্যাপারীকে নিয়ে ছয়জন রয়েছেন।
বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া বাংলাদেশি ১০ যাত্রীর মধ্যে দুজনকে নেপাল থেকেই পাঠানো হয়েছে সিঙ্গাপুরে।
কবির হোসেন নামে একজনকে দেশে পাঠানো হবে সোমবার। বাকি একজন ইয়াকুব আলীকে চিকিৎসার জন্য ভারতের দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।
বিমানে বাংলাদেশের ৩৬ নাগরিকের মধ্যে দুই পাইলট ও দুইজন কেবিন ক্রুসহ ২৬ জন নিহত হন। শাহীনসহ ১০ জন দগ্ধ হলেও বেঁচে যান।
মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার মৃত শফিউল্ল্যাহ ব্যাপারী ও জাহানারা বেগমের ছেলে শাহীন বেড়ানোর উদ্দেশ্যে ১২ মার্চ ইউ-এস বাংলার ওই ফ্লাইটে চেপেছিলেন বলে তার চাচা শাহজাহান ব্যাপারী জানান।
শাহীন স্ত্রী রিমা ও আট বছরের মেয়ে সূচনাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের আদমজীর একটি বাসায় থাকেন। তিনি সদরঘাটে 'করিম এন্ড সন্স' নামে একটি কাপড়ের দোকানে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন।
শাহজাহান ব্যাপারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুর্ঘটনার কথা শোনার পর আমরা কেউই ভাবি নাই শাহীন বেঁচে আছ। ওই দিন রাতেই জানতে পারলাম ও বেঁচে আছে। ওর সাথে কথা হয়েছিলো পরে। ও বলেছে, 'আল্লাহর দোয়া ছিলো তাই বেঁচে গিয়েছি'।"