তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ একজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রোববার সকালে তাকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয়।
ওই হাসপাতালের ইনফরমেশন ডেস্কের কর্মকর্তা মো. শিহাব উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আফসানা খানমের ব্রেইন স্ট্রোক হয়েছে।
“হাসপাতালে ভর্তি করার পর একটি মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তার অপারেশন হয়েছে। এখন তিনি আইসিইউতে আছেন।”
হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ড. বদরুল আলমের অধীনে আফসানা খানমের চিকিৎসা চলছে বলে জানান শিহাব।
দুর্ঘটনার পর ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, পাইলট আবিদ আহত অবস্থায় হাসপাতালে আছেন।
কিন্তু পরদিন সকালে তারা কাঠমান্ডুর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবিদের মৃত্যুর খবর দেন।
আবিদের ঘনিষ্ঠ একজন বন্ধু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুর্ঘটনার খবর শুনে কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না আফসানা খানম। অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। পরে তিনি বেঁচে আছেন শুনে একটু স্বাভাবিক হন। কিন্তু পরদিন যখন জানতে পারলেন উনি মারা গেছেন, তারপর থেকে তিনি একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন।”
ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র আবিদ একসময় বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের বৈমানিক ছিলেন। নেপালের বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ড্যাশ ৮-কিউ ৪০০ এয়ারক্রাফটটি ক্যাপ্টেন আবিদই কানাডা থেকে বাংলাদেশে উড়িয়ে এনেছিলেন।
আবিদ সুলতানের ঘনিষ্ঠ এক সহকর্মীর বরাতে একটি পত্রিকার খবরে বলা হয়, দুর্ঘটনার আগের দিনই ইউএস-বাংলায় পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন এই বৈমানিক। তবে তা গৃহীত হয়নি।
এ বিষয়টিও অস্বীকার করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার দাবি, আবিদের ইস্তফা দেওয়ার ওই খবর সঠিক নয়।
নেপালে ওই দুর্ঘটনায় আবিদের ফার্স্ট অফিসার পৃথুলা রশিদ এবং কেবিন ক্রু খাজা হোসেন ও শারমিন আক্তার নাবিলাও মারা গেছেন।