প্রদর্শনীতে খুরশীদ সেলিমের ‘অ্যাবস্ট্রাকশন অন কোলাজ পেইন্টিং’

মিক্সড মিডিয়ায় আঁকা বিমূর্ত ধারার চিত্রকলায় প্রকৃতির নানা রূপ ফুটিয়ে তুলেছেন বেইজিং অলিম্পিকে স্বর্ণপদক বিজয়ী প্রবাসী চিত্রশিল্পী খুরশীদ আলম সেলিম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 March 2018, 07:10 PM
Updated : 17 March 2018, 07:10 PM

রাজধানীর গ্যালারি টুয়েন্টি ওয়ানে ‘অ্যাবস্ট্রাকশন অন কোলাজ পেইন্টিং’ শিরোনামে প্রদর্শনীতে তার আঁকা এমন সব শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে।

শনিবার সন্ধ্যায় এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল ও নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান ও শিল্পী মনিরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গ্যালারি টুয়েন্টি ওয়ানের পরিচালক শামীম সুব্রানা।

চিত্রকলা প্রদর্শনী নিয়ে শিল্পী খুরশীদ আলম সেলিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রায় চার দশক ধরে আমি কালার অ্যান্ড ফর্ম নিয়ে কাজ করছি। আমার প্রচণ্ড ভালোলাগার বিষয় প্রকৃতি। জন্মভূমির ফুল, ফল আর প্রকৃতির প্রেমে পড়েছি আবারও। সে কথাই এবার তুলে ধরেছি ক্যানভাসে।”

নিউ ইয়র্ক প্রবাসী শিল্পী সেলিম লং আইল্যান্ডে গড়ে তোলেন গ্যালারি নিউ ইয়র্ক আর্ট কানেকশান। সেখানে ঘুরতে এসে একদিন সেলিমের চিত্রকর্মে মুগ্ধ হন জার্মান চিত্রকর ও ফ্যাশন ডিজাইনার ক্লাউডিয়া তেহেদা। পরে তারা দুজন মিলে শুরু করেন ‘এসঅ্যান্ডটি’ শিরোনামে এক ফ্যাশন লেভেল। ক্লাউডিয়া পোশাকে ফুটিয়ে তোলেন সেলিমের ছাপচিত্রের নানা নমুনা।

মিক্সড মিডিয়ায় আঁকা ৪০টি ছবির পাশাপাশি প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছে ‘এসঅ্যান্ডটি’ ফ্যাশনের কিছু পোশাক।

চিত্রশিল্পী সেলিম জাতিসংঘের শান্তি-সম্প্রীতি কার্যক্রমেও অংশ নিয়েছেন। জাপান, সুইডেন, অস্ট্রিয়া, চীন, ভারত, বাংলাদেশ, জার্মানি, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ বিশ্বের নানা দেশে তিনি প্রদর্শনী করেছেন। ২০০৩ সালে গ্রিসে জিতেছেন ইউনেস্কো অ্যাওয়ার্ড। পরে এশিয়ান হেরিটেজ কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।

প্রদর্শনীটি চলবে ২৭ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনীর দুয়ার।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শাজাহান খান বলেন, “বাংলাভাষী এই শিল্পী বিদেশ বিভুঁইয়ে থেকেও চিত্রকলার ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। মানুষের মনের রঙিন কল্পনাগুলো তারা ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলতে পারেন। ছবিগুলো দেখে সাদামাটা মনে হলেও এর ভেতরে রয়েছে অনেক ভাবার্থ।”

এই অনুষ্ঠানে একই সঙ্গে জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করা হয়।

শাজাহান খান বলেন, “আজ থেকে ২০ বছর পর হয়ত মুক্তিযোদ্ধা আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। তখন তরুণদের বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। তবেই না বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন সত্যি হবে। আমরা জাতীয়তবাদের যে চেতনা বাস্তবায়নের কথা বলি, তা সত্যি হবে।”