আত্মীয়-স্বজনরা শনিবার তাদের লাশ শনাক্ত করেছেন বলে নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যাদের শনাক্ত করা হয়েছে তাদের মৃতদেহ মঙ্গলবার থেকে দেশে পাঠানো হবে।”
এই ১৭ জনের মধ্যে পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশীদ এবং কেবিন ক্রু খাজা হোসেন মো. শফি রয়েছেন। যাত্রীদের মধ্যে ফয়সাল আহমেদ, বিলকিস আরা, মোসাম্মৎ আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, সানজিদা হক, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, শিশু তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহিরা তানভীন শশী রেজা, শিশু অনিরুদ্ধ জামান, মো. নুরুজ্জামান ও মো. রফিকুজ জামান,
নিহত বাকি বাংলাদেশিদেরও একইভাবে শনাক্ত করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত মাশফি।
তিনি বলেন, যাদের কোনোভাবেই শনাক্ত করা যাবে না, তাদের ক্ষেত্রে স্বজনদের সঙ্গে ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে।
“সেই সময়টা মৃতদেহ নেপালেই থাকবে।”
দুর্ঘটনার পরদিনই হতাহতদের স্বজনদের নেপাল নিয়েছিল ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ। তবে এতদিন তারা নিহতদের লাশ দেখতে পারেননি। শুক্রবার সবার ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পর শনিবার লাশ শনাক্ত শুরু হয়।
১৭ বাংলাদেশি ছাড়াও ওই দুর্ঘটনায় নিহত ১০ নেপালি ও এক চীনা নাগরিকের লাশ শনাক্ত হয়েছে বলে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে।
উড়োজাহাজে আগুন ধরে নিহতদের কয়েকজনের দেহ খুব বেশি পুড়ে যাওয়ায় তাদের শনাক্ত করতে স্বজনদের সঙ্গে ডিএনএ মিলিয়ে নিতে হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা। সে অনুসারে ডিএনএ নমুনা দেওয়ার জন্য রোববার ঢাকার মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে স্বজনদের যেতে বলা হয়েছে।
এই দুর্ঘটনায় আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে পাঁচজনকে এরইমধ্যে দেশে ফিরিয়ে এনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।