শেখ হাসিনা বলেন, “আজকে আমাদের জন্য একটা সুখের সংবাদ, জাতির পিতার জন্মদিনেই এই সংবাদটি পেলাম যে, আমাদের এত দিনের প্রচেষ্টার ফলে আজকের বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ ছিল, আজ সেই বাংলাদেশ আজ জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছে, উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে।
“জাতির পিতার যে স্বপ্ন, যে আকাঙ্ক্ষা; ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা, তার একধাপ অগ্রযাত্রা অর্জন করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। জাতির পিতার জন্মদিনে এই সুখবরটা বিরাট একটা অর্জন বলে আমি মনে করি। সেজন্য সকলকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।”
জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোকে তিনটি শ্রেণিতে বিবেচনা করে; স্বল্পোন্নত, উন্নয়নশীল ও উন্নত। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় থাকলেও উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা অর্জন করল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অর্থাৎ আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো যেমন, ভারত, শ্রীলংকা, এমনকি পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ উন্নয়নশীল দেশ… আমরা একধাপ পিছিয়ে পড়েছিলাম। আজকে, আমরা খবর পেয়েছি; আমরা পিছিয়ে পড়ে নেই। এই অঞ্চলের সব দেশের সঙ্গে সমানতালে তাল মিলিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে পারব।”
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে সকালে ধানমণ্ডিতে তার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে গোপালগঞ্জ রওনা হন শেখ হাসিনা।
টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দেওয়ার পর সেখানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত শিশু সমাবেশে ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা হাসিনা।
জাতির জনকের জন্মদিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশের একটি শিশুও পথশিশু থাকবে না। প্রতিটি শিশু লেখাপড়া শিখবে মানুষের মতো মানুষ হবে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার উপযুক্ত হবে।
“এদেশেই প্রতিটি দরিদ্র মানুষ ঘর পাবে, খাদ্য পাবে, চিকিৎসা পাবে, সুন্দর জীবন পাবে। এদেশেই প্রতিটি মানুষ বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে চলবে।”
অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকিও বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার ছোট ভাইয়ের নামে ‘শেখ রাসেল’ ডাক টিকিট ও বিশেষ খাম অবমুক্ত করেন। এরপর তিনি ‘আমাদের ছোট্ট রাসেল সোনা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
পরে তিনি দুজন দুস্থ মহিলার হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেন। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কারও বিতরণ করেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও কাজী জাফর উল্যাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক ও আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য এস এম কামাল হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব, তিন বাহিনী প্রধান, পুলিশের মহা পরিদর্শক, তথ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সচিব, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।